ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এই নিয়ে নতুন করে তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। তৃণমূলের বক্তব্য, একশো দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। এ রাজ্যে ৫২ লক্ষ পরিবার এই কাজে যুক্ত রয়েছে। মোদি সরকার চাইছে, সেই কাজ তুলে দিতে। সে কারণেই একদিনে যে কাজ করা অসম্ভব, তার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। নানা ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। গরিব মানুষ যাতে টাকা না পান, তার জন্য এইসব শুরু করেছে কেন্দ্র। অবশ্য সে কথা মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, একশো দিনের কাজ থেকে যাতে কেউ কাটমানি না খেতে পারে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বহু শ্রমিক তাঁদের প্রাপ্য টাকা পেতেন না। পঞ্চায়েতের নেতারাই ভুয়ো মাস্টার রোল দেখিয়ে টাকা তুলে নিতেন। তা আটকাতেই কেন্দ্রীয় সরকার কড়াকড়ি করেছে।
শুধু একশো দিনের কাজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া নয়, সুপার ভাইজারের সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে ২৫ জন শ্রমিক পিছু একজন সুপার ভাইজার ছিল। এখন সেই শ্রমিকের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছে। সুপারভাইজারদের দৈনিক মজুরি ২৫০ টাকা। গত এক বছর ধরে সেই টাকা বকেয়া রয়েছে। সুপারভাইজারদের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। এর আগে বিধানসভায় পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একশো দিনের প্রকল্পে বকেয়ার অঙ্ক প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু যা কড়াকড়ি করা হয়েছে, তাতে আর শ্রমিক পাওয়া যাবে না। কেন্দ্রের কড়াকড়ির জন্য একজন শ্রমিক দিনে কাজ করে ৩০-৩২ টাকা কী ৭০-৭৫ টাকা পাবেন, তাহলে তিনি কেন আগ্রহী হবেন? সেই সময় অন্য কাজ করে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে নানাভাবে টাইট দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে সুব্রতবাবু অভিযোগ করেন।