ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
মা অনুপ্রেরণা
‘হীরামান্ডি’র প্রচার পর্বে এতদিন ব্যস্ত ছিলেন রিচা। সঙ্গে ছিল নিজের প্রযোজনা সংস্থার নানা কাজ।
‘এখনও আমি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাইনি। তবে খুব শিগগিরই আমি বিরতি নেব। ভালো গান শুনে, ভালো বই পড়ে এই সময়টাকে উপভোগ করবো। শিশুর জন্য যা যা ভালো তাই করব’, বললেন রিচা। জীবনের সব ক্ষেত্রে তিনি তাঁর মায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত। তিনি বলেন, ‘আমার মা গত বছর চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। আমি সবসময় দেখেছি মা সংসার এবং কাজ দু’টোই সমানভাবে সামলেছেন। আমরা দুই ভাই-বোন। আমাদের দু’জনকে খুব সুন্দর ভাবে মা বড় করেছেন। আমার ভাই জন্মানোর এক মাস পরেই মা আবার কাজে ফিরে গিয়েছিলেন। আমিও হয়তো বা মায়ের পথেই হাঁটব।’
স্মরণীয় কাজ
সাধারণত যে ধরনের চরিত্রে এত বছর রিচাকে দেখেছেন দর্শক, এই ওয়েব সিরিজ তার থেকে একেবারেই আলাদা। রিচা বলেন, ‘আমি নিজের ইমেজ ভাঙতে চাইছিলাম। এখানে সেই সুযোগ ছিল। সঞ্জয়ের সঙ্গে কাজ করা আমার কেরিয়ারের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। আমি জানি ভালো-মন্দ দুই ধরনের মন্তব্যেরই মুখোমুখি হতে হবে আমাদের। এটুকু বলতে পারি, এমন একটি চরিত্রের জন্য আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম।’
কঠিন চ্যালেঞ্জ
‘হীরামান্ডি’ সিরিজে ‘লাজ্জো’ হয়ে ওঠা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল রিচার জন্য। এর প্রস্তুতির সময় তিনি মীনাকুমারীর ‘পাকিজা’ ছবিটা একাধিকবার দেখেছেন। রিচার কথায়, ‘আমার চরিত্রটি ‘পাকিজা’ ছবির মীনাকুমারীর চরিত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত। উনি নাচ, অভিনয়— সব দিক থেকে সমৃদ্ধ ছিলেন। ‘লাজ্জো’র ক্ষেত্রে ওঁর এক শতাংশ কাছাকাছি যেতে পারলেই আমি খুশি।’
পরিপূর্ণ নই
‘আমি নিজের এই কয়েক বছরের সফরকে ঘিরে সন্তুষ্ট, তবে কোথাও যেন পরিপূর্ণ নই। অনেক ধরনের চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। তবুও মনে হয় আমার অভিনেত্রী সত্তার সব দিক এখনও বিকশিত হয়নি। আমার জীবনে সেরা চরিত্রটি এখনও আসেনি’, নিজের ১৬ বছরের অভিনয় জীবন নিয়ে এটাই রিচার মূল্যায়ন।
বন্ধু
সন্তানসম্ভবা রিচার প্রতিটি দিন যত্নে আদরে ভরিয়ে রেখেছেন তাঁর স্বামী তথা অভিনেতা আলি ফজল। তাঁর প্রসঙ্গ উঠতে ঝলমলে হাসি হেসে রিচা বলেন, ‘আলি এমনিতেই ভীষণ কেয়ারিং। এখন আরও বেশি খেয়াল রাখে আমার। আমরা একে অপরের ভালো বন্ধু। একে অপরকে সম্মান করি।’