ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ক্যারিবিয়ান সফরে ইনিংস শুরু করতে নেমে চরম হতাশ করেছেন লোকেশ রাহুল। চার ইনিংসে মাত্র ১০১ রান করেছেন তিনি। স্কোরগুলি যথাক্রমে সাজালে দাঁড়ায় ১৩, ৬, ৪৪ ও ৩৮। দলের প্রথম পছন্দের ওপেনারের এমন পারফরম্যান্স হতাশ করেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে মিডল অর্ডার নিজেদের সেরাটা দেওয়ায় দলকে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিন্তু ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে যে এই বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না সেটা বিলক্ষণ বুঝেছেন নির্বাচকরা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রাহুল ভালো ব্যাটিং করলেও টেস্টে তাঁর ব্যাট খুব একটা ভরসা দিতে পারছে না। টেস্টে তাঁর শেষ হাফ-সেঞ্চুরিটি এসেছিল বছরের গোড়ায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওভাল টেস্টে। পাঁচদিনের ক্রিকেটে রাহুলের ফর্ম যে তাঁদের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা মেনে নিচ্ছেন নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ। আর সে জন্যই টেস্টেও রহিতকে ওপেনার হিসেবে ব্যবহারের কথা উঠে আসছে তাঁর মুখে। এক সাক্ষাৎকারে প্রসাদ বলেন, ‘দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফেরার পর অধিনায়ক বা কোচের সঙ্গে এখনও নির্বাচক কমিটির বৈঠক হয়নি। যখন আমরা একসঙ্গে বসব, তখন এই বিষয়টি নিশ্চয়ই আলোচনা হবে।’ সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘লোকেশ রাহুল দারুণ প্রতিভাবান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। তবে টেস্টে এখনও সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজের দল বাছার সময় বিকল্প ওপেনার নিয়ে আলোচনা করতে হবে। সেক্ষেত্রে রহিতের নামও আলোচনায় আসতে পারে।’
বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় টেস্ট দলের সদস্য ছিলেন রহিত। সেখান মিডিল অর্ডারে ভালোই ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে দলের সঙ্গে থাকলেও প্রথম একাদশে জায়গা পাননি রহিত। ওই সিরিজে অজিঙ্কা রাহানে ফর্মে ফিরেছেন, হনুমা বিহারিও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই মিডল অর্ডারে এই মুহূর্তে জায়গা খালি নেই। এই অবস্থায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মতো এবার টেস্টেও রহিতকে ওপেনারের ভূমিকাতেই দেখা যেতে পারে।