শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
উপাচার্য, সিলেকশন কমিটি এবং স্ক্রিনিং কমিটিগুলির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন পদোন্নতি, প্রার্থী বাছাই বা ক্রেডিট দেওয়ার ক্ষেত্রে কেয়ার লিস্টে থাকা গবেষণাপত্রগুলিই গ্রাহ্য করে। ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে যেন উচ্চ গুণমানের গবেষণাপত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। স্রেফ গবেষণার সংখ্যাকে গৌণ বিষয় হিসেবে দেখতে বলা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, পিয়ার রিভিউড জার্নাল, অর্থাৎ তার মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব গবেষণাপত্রগুলির সংখ্যাই বেশি, সেগুলিকে গ্রাহ্য না করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও, কেয়ারের তালিকায় থাকা জার্নালগুলি কোয়ালিটি বা মানের দিক থেকে উঁচু, তা মানতে রাজি নন অধ্যাপক সংগঠন অ্যাবুটার সাধারণ সম্পাদক গৌতম মাইতি।
তিনি বলেন, ওই জার্নালগুলির প্রকাশকদের বেশি টাকা দিয়ে যিনি গবেষণাপত্র ছাপাতে পারবেন, তিনিই বড় গবেষক। আইনস্টাইনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাপত্রও অনেক অনামী জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক লিটল ম্যাগাজিনেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা থাকে। তাই এভাবে ফারাক করা যায় না। মাঝেমধ্যেই যেভাবে ইউজিসি এ ব্যাপারে নতুন নতুন নির্দেশ জারি করছে, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট। উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে তারা বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে যেতে চায়। পাশাপাশি তারা এও চায় না যে, প্রথাগত উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যুবরা সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলুক। তবে, অধ্যাপকদের একাংশ বলছে, গবেষণাপত্রের মান উন্নত হওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে জার্নালগুলির উপরেও নজরদারি জরুরি। তবে, কোন জার্নাল তালিকায় থাকবে, আর কোনটা থাকবে না, তা নিয়ে আরও বিস্তারিত মূল্যায়ন এবং আলোচনা চলতেই পারে। পদোন্নতির লক্ষ্যে যেনতেন প্রকারেণ একটি গবেষণাপত্র ছাপিয়ে হাত ঝেড়ে ফেলার অভ্যাস বন্ধ হওয়া উচিত।