কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পরিদর্শক দলটির জন্য ফলের রস ও অন্যান্য খাবার আনা হয়েছিল। স্বাস্থ্যকর্তা সহ সব কর্মী তা খান। তারপর দুপুর গড়াতে না গড়াতেই খবর, যাঁরা ফলের রস খেয়েছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ভিনরাজ্যের দুই পরিদর্শকও। তাঁদের বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। অসুস্থদের খোঁজ নিতে ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ইমার্জেন্সি যাচ্ছিলেন হাসপাতালের সুপার ডাঃ গুহ। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে তিনিও অসুস্থ বোধ করেন। ডাঃ গুহ বলেন, ‘চোখে ঝাপসা দেখছিলাম। আচ্ছন্ন বোধ করছিলাম। ভালো করে শুনতে পারছিলাম না। কথাও জড়িয়ে গিয়েছিল। প্রায় অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা। প্রত্যেকেরই একই অবস্থা।’
বেশ কিছুক্ষণ ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসার পর বুধবার বিকেল নাগাদ অসুস্থদের ছাড়া হয়। জানা গিয়েছে, অনলাইন ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে একটি নামী সংস্থার কমলালেবুর জুস আনা হয়েছিল। তা খেয়ে যে এমন কাণ্ড হবে, ভাবেননি কেউই। বিশেষত ভিন রাজ্যের পরিদর্শকদের সামনে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। সন্ধ্যার দিকে অসুস্থ ন’জনই অনেকটা সুস্থ বোধ করেন। বেঁচে যাওয়া ফলের রসের নমুনা বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পুলিসে অভিযোগও দায়ের করে বিধাননগর পুরসভা। উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সমুদ্র সেনগুপ্ত বলেন, ‘আশ্চর্যজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনাগুলিতে সাধারণভাবে পেটে সংক্রমণ হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অসুস্থদের প্রত্যেকেরই সাময়িক স্নায়বিক সমস্যা হয়েছিল। পুলিসে জানানো হয়েছে। ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’ বিধাননগর পুরসভার মেয়র পরিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষয়টি পুলিসে লিখিত অভিযোগ আকারে জানানো হয়েছে।’