কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কলকাতায় কতটা গরম পড়ে। এ শহরে ঠান্ডা নিয়ে যতটা চর্চা হয় গরম নিয়ে ততটা হয় না। এই বেগুনপোড়া পরিস্থিতিতে গরমের দিকেও একবার চোখ বোলানো যাক। চলতি এপ্রিলে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৮ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠেছে। আট বছর আগে ২০১৬ সালে এই সময়কালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৩। ২০১৪ সালে ছিল ৪১.২ ডিগ্রি। গত বছর এপ্রিলে একদিন ৪১ ছুঁয়েছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর এ বছর সোম ও মঙ্গলবার আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিল বলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নীচেই ছিল। আজ, বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফের ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস। আর তারপরই তৈরি হবে প্রকৃত তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি। ফলে গরম থেকে বাঁচতে যা যা করার তা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে শহর।
সোমবার আকাশ মেঘলা ছিল। মঙ্গলবারও তাপ ছিল গত সপ্তাহের তুলনায় খানিক কম। একটু স্বস্তি পেয়েছিল শহরের মানুষ। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তরের অনুমান, এই স্বস্তি থাকবে না। ফের শহরের বাতাসে তীব্র তাপ অনুভূত হবে। গত এক সপ্তাহ ধরে কলকাতায় টানা তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি চলছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩৯ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। মঙ্গলবারের পর সে গরম হাওয়া মহানগরীতে আরও তীব্র ভাবে বইবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হলে তাকে প্রকৃত তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি বলা হয়।
এ প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভালো, এপ্রিল মাসে মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতায় তিনদিন প্রকৃত তাপপ্রবাহ ছিল। আর সাত দিন ধরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি শহরে তৈরি আছে। ২০১৬ সালেও টানা এরকম তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সৌরীশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘২০১৬ এবং ২০০৯ সালে এপ্রিল মাসে মোট আট দিন প্রকৃত তাপপ্রবাহ ছিল শহরে। এবার এপ্রিল মাসে শহরে প্রকৃত তাপপ্রবাহের দিনের সংখ্যা আরও বাড়বে। সবমিলিয়ে আগামী সাত দিন কলকাতায় টানা তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়া এবং তা বজায় থাকার সম্ভাবনা অধিক মাত্রায় আছে। যার হাত ধরে ৪৪ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড গড়ার পথে দৌড় শুরু করতে চলেছে আমাদের প্রিয় তিলোত্তমা।
ফলে বেশি করে কেনা হচ্ছে ওআরএস। ওড়না, টুপি কেচে শুকোতে দিচ্ছেন সবাই। যত দামই হোক কাঁচা আম কিনে ফ্রিজে রাখা শুরু হয়েছে। কেনা হয়েছে সরবতের বোতল, সান স্ক্রিন লোশন, ছাতা। সান গ্লাসের ডাঁটি ভেঙে গিয়েছিল। তা চটজলদি সারিয়ে তোলার জন্য দোকানে পাঠাচ্ছেন অনেকে। তার সঙ্গে চলছে এসির সার্ভিসিং। কেউ জানলায় খস লাগাচ্ছেন। এর আগে চরম শীত, অঝোর বর্ষা, কেউই কলকাতাকে হার মানাতে পারেনি। এবার প্রবল গরমও পারবে না কাবু করতে। চ্যালেঞ্জ নিতে রেডি আমার শহর।