কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এগুলি বিজ্ঞান আলোচনা। বাস্তবে রাস্তায় বেরিয়ে মানুষ এখন ঘামছে কম। শুষ্ক গরমের জ্বালা কিরকম তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। তার কারণ কী? কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন অতিরিক্ত অধিকর্তা ডঃ দীপঙ্কর সাহা বলেন, ‘সমস্যা হল, এখন শুধু বাইরে নয় ঘরে ঢুকলেও অসহ্য গরম লাগছে। আসলে বাড়িগুলি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যে, স্বাভাবিক হাওয়া-বাতাস যাতায়াতের রাস্তা থাকছে না। ফলে এসি বসানো আবশ্যক হয়ে পড়ছে। লাগামছাড়া নগরায়ণ কলকাতার মতো সমস্ত বড় শহরকে হিট আইল্যান্ডে পরিণত করেছে।’ আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাসও বলেন, ‘নগরায়ণের জন্য গরম বাড়ছে। হিট আইল্যান্ড তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এটি প্রমাণিত। তবে হিট ওয়েভের সময় শুকনো গরমের দাপট বেশি থাকে। অন্যসময় বেশি থাকে আর্দ্রতা। এর কোনও বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। হ্যাঁ গ্লোবাল ওয়ার্মিং-সহ নানা কারণে যেটা হয়েছে তা হল—এই ঠান্ডা, এই গরম, অর্থাৎ হঠাৎ হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ব্যাপারটা বেড়ে গিয়েছে।’
এই অসহ্য শুষ্ক গরমে সুস্থ থাকার উপায় কী? পিজি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ নীলাদ্রি সরকার জানান, প্রধান দু’টি উপায় হল, পর্যাপ্ত জলপান এবং দুপুরে বাড়ির বাইরে বেরনো এড়িয়ে চলা। দুপুরে নিতান্ত বেরতেই হলে শরীর ঢেকেঢুকে বেরতে হবে। অন্যথায় হতে পারে ‘হিট র্যাশ’।