গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত ১০ মার্চ ব্রিগেড ময়দান থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল। তারপরই বুধবার থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল প্রার্থী। তিন দিন ধরে দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক চলবে। তারমধ্যে প্রথম দিনে ডায়মন্ডহারবার ও ফলতা বিধানসভার তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা সারলেন অভিষেক। কয়েক ঘণ্টা ধরে সংগঠনের খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার চারটি ওয়ার্ড এবং কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বুথে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ সেখানে বিরোধীরা এক প্রকার ভোটের নিরিখে এগিয়ে আছে। এই বিষয়টি এদিনের বৈঠকে উঠে আসে বলে খবর। সূত্রের খবর, কেন সেখানে তৃণমূল পিছিয়ে, ওই ওয়ার্ড এবং বুথগুলিতে তৃণমূলের ফল কেন খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন অভিষেক। কেন সেখানে পরপর দুটি নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপি থেকে বেশি ভোট পায়নি, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন স্থানীয় সাংসদ। পরে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে যে বুথে তৃণমূল হারবে, সেখানকার নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। প্রয়োজনবোধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে খবর। বৈঠক সূত্র জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবার পুরসভায় ৪, ৬, ৯, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে মশাট পঞ্চায়েতের একটি এবং মাথুর ও খোরদা পঞ্চায়েতের দুটি করে বুথে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট বিজেপির থেকে কম। সেখানকার স্থানীয় নেতৃত্বকে সংগঠন শক্তিশালী করার কাজে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। কেন মানুষ এই বুথগুলোতে বা ওয়ার্ডে তৃণমূলকে গ্রহণ করল না, সেটা নিয়েও দলীয় নেতৃত্বকে দেখার অনুরোধ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, ফলতার শিবানীপুর, মল্লিকপুর এবং ফলতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি বুথ নিয়েও স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন অভিষেক। সেখানেও বিগত দুটি নির্বাচন ২০১৯ এবং ’২১ সালে কম ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। তাই সেখানে আরও বাড়তি জোর দিতে বলেছেন তিনি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের পরিষেবা মানুষ পেয়েছেন কি না, বা কোথায় অসুবিধা হচ্ছে, কেন পাচ্ছেন না ইত্যাদি খোঁজখবর করতে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ। পাশাপাশি সরকারি প্রকল্প, বার্ধক্য ভাতা ইত্যাদি যে সমস্ত পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে, তার প্রচারও নিয়ে যেতে হবে সেখানে।