গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে দোলের রং খেলে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েছিল আগরপাড়ার চার স্কুল পড়ুয়া। পূর্ণিমায় বানের তোড়ে তারা সকলেই ভেসে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে শিবম নামের এক স্কুল পড়ুয়া কোনওমতে সাঁতরে পাড়ে এলেও বাকি তিনজন ভেসে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে নীরজ রজক (১৪) ও রণিত রায়ের (১৬) মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু এদিনও আদিত্য সাউয়ের খোঁজ মেলেনি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনভর পুলিস, এনডিআরএফ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তিনটি পৃথক বোট থেকে গঙ্গার দুই পাড়ে, দক্ষিণেশ্বর ব্রিজ লাগোয়া এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ছাত্রের খোঁজ মেলেনি।
জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে অরন্ধন চলছে আদিত্যের বাড়িতে। এদিন আদিত্যের বাড়ির সদস্য ও আত্মীয়রা তলিয়ে যাওয়া আনন্দময়ী আশ্রম ঘাট সহ আশপাশের ঘাটে দিনভর বসেছিলেন। আদিত্যের কাকা সহ পরিবারের অন্যান্যরা বোট ভাড়া করে উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি গঙ্গাবক্ষে ঘুরে ঘুরে খোঁজ চালান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরাও হতাশ হন। আদিত্যর বাবা সঞ্জীব সাউ শোকে মুহ্যমান। বাড়িতে থাকতে পারছেন না। মাঝেমাঝে বাড়ির অদূরে গঙ্গার পাড়ে চলে আসছেন। শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছেন গঙ্গার দিকে। বারবার বলছেন, সন্ধ্যায় ছেলেটার জন্মদিন ছিল। সব কিছু কিনে এনে ফ্রিজে রেখেছিল। কেন যে ওকে রং খেলতে যেতে বললাম!
স্থানীয় বাসিন্দা অমিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এই তিনজন স্কুল পড়ুয়া গঙ্গায় কোনওদিন নামেনি। স্কুল ও পড়া নিয়ে থাকত। ওদের এই পরিণতি পাড়ার কেউ মেনে নিতে পারছেন না। পুলিস ও প্রশাসন রাতেও আলো জ্বেলে তল্লাশি চালাচ্ছে। আমরাও পরিবারের সদস্যদের মতোই উৎকণ্ঠায় রয়েছি।