গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী তথা মৃত সঞ্জয়ের শাশুড়ি মধু গুজরাতি জানাচ্ছেন, ‘ঘড়িতে তখন রাত পৌনে দু’টো। ফুটপাতে সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। সঞ্জয়ের স্ত্রী মানে আমার মেয়ে বাথরুম করতে গিয়েছিল। হঠাৎ একটি প্রাইভেট কার যোগাযোগ ভবনের ফুটপাত ঘেঁষে এসে দাঁড়াল। গাড়ি থেকে নেমে দুষ্কৃতী কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে ঘুমন্ত সঞ্জয়ের মাথায় এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। চিৎকার শুনে আমরা ছুটে আসি।’
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সঞ্জয়কে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ধৃত সুমিতের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে বউবাজার থানার পুলিস। যে প্রাইভেট কারে চেপে মাঝরাতে সাউথপোর্ট থেকে বউবাজারে এসেছিল অভিযুক্ত, তার চালক মহেশের মা বুধবার বিকেলে বউবাজার থানার সামনে দাঁড়িয়ে জানান, ‘আমার ছেলে বিএনআর-এর ভাড়া গাড়ি চালায়। গতকাল রাতে সুমিত জোর করে মহেশের সেই ভাড়া গাড়িতে চেপে এখানে আসে। মহেশ অত রাতে বউবাজারে আসতে রাজি না হলে, গাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল সুমিত।’ পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, সুমিতের সঙ্গে সঞ্জয়ের স্ত্রীর প্রেম ছিল।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বউবাজার থানার এক সূত্র জানাচ্ছে, ধৃত সুমিতের সঙ্গে মৃত সঞ্জয়ের স্ত্রী’র একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। যা নিয়ে উভয়ের মধ্যে রেষারেষি ছিল। দু’জনেই মাদকাসক্ত। পরকীয়ার জেরেই সঞ্জয়কে চিরকালের মতো দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সুমিত। তবে সুমিতের এই পরিকল্পনার নেপথ্যে আর কেউ জড়িত কি না, তা তদন্তে খতিয়ে দেখছে পুলিস। বিশেষ করে, ঘটনার সময় সঞ্জয়ের স্ত্রীর সেখানে না থাকাটা কাকতালীয়, নাকি সেটাও পরিকল্পনার অঙ্গ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।