বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ বছর আগে বিচ্ছেদ হওয়ার পর ওই গৃহবধূ তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। বিভিন্ন বাড়িতে তিনি পরিচারিকার কাজ করে সন্তানদের দেখভাল করেন। রাজু স্ত্রী-সন্তানদের দেখভালের কোনও দায়দায়িত্ব না নিলেও মাঝেমধ্যেই মদ্যপ অবস্থা চন্দ্রার কাছে এসে তাঁকে মারধর করে টাকাপয়সা কেড়ে নিত বলে অভিযোগ। শনিবার রাতেও রাজু ওই বাড়িতে আসে। সে চন্দ্রার কাছ থেকে টাকাপয়সা কেড়ে নিতে যায়। চন্দ্রার অভিযোগ, তিনি অনুরোধ করেছিলেন, টাকা না নিতে। কারণ পরিচারিকার কাজ করে সামান্য আয়ের টাকায় তাঁকে সন্তানদের মানুষ করতে হচ্ছে। কিন্তু রাজু তা শোনেনি। টাকাপয়সা কেড়ে নিতে যায় সে। চন্দ্রা জোর করে তা আটকাতে গেলে রাজু তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। প্রথমে তাঁকে মারধর করে, তারপর সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
ছুরিকাহত অবস্থায় চন্দ্রাদেবী চিৎকার করলে পড়শিরা ছুটে আসেন। তাঁরা এসে যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু করেন, তখনই সুযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় রাজু। পড়শিরাই ওই গৃহববধূকে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিস যায়। খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা রাজু দাস একটি বেসরকারি সংস্থার কাজ করে। চন্দ্রাকে ছাড়াও লুকিয়ে সে আরও একটি বিয়ে করে। তারপরই সে চন্দ্রাকে ছেড়ে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর কাছে গিয়ে থাকত।