বিএনএ, বারাসত: সন্দেশখালির ভাঙা তুষখালি এলাকায় যুবতীকে এবং ন্যাজাট থানার মেটেখালি এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। সরস্বতী পুজোর দিন রবিবারই এই দু’টি পৃথক ঘটনা ঘটেছে। তবে, নির্যাতিতাদের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সন্দেশখালি থানা ও ন্যাজাট থানার পুলিস দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছে। পুলিস জানিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনায় ধৃত ব্যক্তির নাম নিশিকান্ত বর। ভাঙা তুষখালি এলাকাতেই তার বাড়ি। অন্যদিকে, ন্যাজাটের ঘটনায় ধৃত যুবকের নাম রঞ্জন সরকার। তার বাড়িও ন্যাজাটের মেটেখালি এলাকায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালে সন্দেশখালির ভাঙা তুষখালির ওই যুবতী নিজের বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সুযোগ প্রতিবেশী নিশিকান্ত বর তাঁর বাড়িতে আচমকা ঢুকে পড়ে। তারপর তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা তিনি যাতে কাউকে না বলেন সে ব্যাপারে মারধর করে খুনের হুমকিও দিয়ে যায়। এদিকে, সন্ধ্যার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই যুবতী। পরিবারের লোকেরা প্রথমে বুঝতে পারেননি। অসুস্থতার কথা জিজ্ঞাসা করলে ওই যুবতী বিষয়টি জানান। তারপরই সোমবার সকালে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে পুলিস এদিন সন্ধ্যায় ৫০ বছরের নিশিকান্তকে গ্রেপ্তারও করে। পুলিস জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, ন্যাজাট থানার মেটেখালি এলাকায় রবিবারই দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে সরস্বতী ঠাকুর দেখানোর নাম করে এবং খাবারের লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী যুবক রঞ্জন সরকার। কিন্তু, প্রতিমা দর্শনা না করিয়ে সে বাড়ির পাশে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বিকেলের পর থেকে ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তারপরই বিষয়টি জানাজানি হয়। ন’বছরের ওই ছাত্রী ঘটনার কথা তারা মা-বাবা বলে। তারপর ওইদিন সন্ধ্যাতেই ন্যা জাট থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিস তাকে ওইদিনই গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।