বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর

মুর্শিদাবাদ জুড়ে জমে
উঠেছে চৈত্র সেলের বাজার

ইন্দ্রজিৎ কর্মকার, কান্দি: মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে জমে উঠেছে চৈত্র সেলের বাজার। বাংলা বছরের শেষ লগ্নে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেলের বাজারগুলি ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট। করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় গত বছর লকডাউন থাকায় সেলের বাজার বসেনি। এমনকী জমেনি পুজোর বাজারও। ফলে মোটা ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাই এবার চৈত্রের শুরু থেকেই আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তৎপর হয়েছেন তাঁরা। সেলের বাজারে ব্যাপকভাবে কেনাটাকা করছেন ক্রেতারা।
এবার চৈত্র মাস পড়তেই জেলার বহরমপুর, লালবাগ, কান্দি, ডোমকল, জঙ্গিপুরের নানা জায়গায় জোর কদমে চলছে জামা-কাপড়, চটি-জুতো, নানা রকমের বাসনপত্র, বিছানার চাদর সহ আনুষাঙ্গিক সামগ্রীর সেল। কোথাও কোথাও এজন্য রাস্তার উপর প্যান্ডেল খাটিয়ে সারিবদ্ধভাবে বসেছে দোকান। আবার কোথাও দোকানের বাইরে ছোট-বড় ডালায় পসরা সাজিয়ে নানা সামগ্রীর সেল দেওয়া হচ্ছে। 
বহরমপুর শহরের অলিগলিতে চলছে সেলের দোকান। কোথাও সেল দেওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র শাড়ি। আবার কোথাও মিলছে পুরুষ ও শিশুদের জন্য হরেক রকমের পোশাক। তবে বেশিরভাগ দোকানে মিলছে সব বয়সের সব রকমের পোশাক। জেলা সদর বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ রোডের পাশে বসেছে শহরের বেশির ভাগ দোকান। এছাড়া, জলট্যাঙ্ক মোড় থেকে খাগড়া হয়ে সোনাপট্টি এলাকাতেও বসেছে অসংখ্য দোকান। চার্চের মোড় থেকে বারাক স্কোয়ার পর্যন্ত দোকানগুলিতে রমরমিয়ে চলছে চৈত্র সেল। কান্দি বাজারেও চৈত্র সেলের বাজারে ব্যাপক বিক্রিবাটা হচ্ছে। শহরের সন্তোষীমাতা মন্দির লাগোয়া এলাকা, কাঁঠালতলায়ও বসেছে চৈত্র সেলের অস্থায়ী দোকান। ডোমকল বাজার ও ইসলামপুরের খাদি দোকানগুলিতেও চলছে চৈত্র সেল। জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জের ম্যাকেঞ্জিপার্ক, কাপড়পট্টি এলাকায়ও চৈত্র সেলের বাজার জমে উঠেছে। মঙ্গলবার শহরের দোকানগুলিতে সকাল ন’টার পর থেকেই জমে উঠছে সেলের বাজার। বহরমপুর কৃষ্ণনাথ রোডের ব্যবসায়ী ভবতোষ সাহা বলেন, সকালে দোকান খোলার পর চার ঘণ্টা ধরে ভালো বাজার পাচ্ছি। আবার সন্ধ্যার দিকেও খুব ভিড় হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, চৈত্র মাসের প্রথম দিন থেকে সেলের বাজার শুরু হলেও, প্রথম দিকে খুব একটা ভিড় হচ্ছিল না। তবে শেষ সপ্তাহে আশাতীত ভিড় হচ্ছে। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাই খুশি। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির জেরে গত প্রায় দেড় বছর ধরে বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু চৈত্র সেলের বাজার সেই ক্ষতিকে কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিয়েছে। কান্দির কাপড় ব্যবসায়ী বিনোদ মুন্দ্রা বলেন, এমন ভালো চৈত্র সেলের বাজার কয়েক বছর পর পাওয়া গিয়েছে। মানুষের হাতে টাকাও রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ক্রেতারাও জমিয়ে কেনাকাটা করছেন। বহরমপুরের গৃহবধূ সোনালি মুখোপাধ্যায় বলেন, পুজোয় ভালো করে কেনাটাকা করা যায়নি, তাই চৈত্র সেলে একটু বেশি করে কেনাকাটা করছি। তবে অনেক জায়গায় নতুন জামা কাপড় পাওয়া যাচ্ছে না। সবই সম্ভবত গত দু’-তিন বছরের পুরনো।

15th     April,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ