ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাস যেমন সুপ্রাচীন তেমনি তার বিস্তারের ব্যাপ্তি। সেই ঐতিহ্যের কিছু বর্ণময় অধ্যায় নিয়ে সম্প্রতি টালিগঞ্জ ক্লাবের উদ্যোগে নৃত্য, গীত, পাঠ ও অভিনয় সমৃদ্ধ এক উজ্জ্বল উপস্থাপনা উপস্থাপিত হল। আম্রপালি, কালিদাসের কাল থেকে নূরজাহান, ওয়াজেদ আলি শাহ হয়ে দ্বারকানাথ ঠাকুর, রানি রাসমণি, বিবেকানন্দ, সিস্টার নিবেদিতা, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজীর ভারতবর্ষ, দেশভাগ, বয়কট আন্দোলন, ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে ভারতবাসীর রুখে দাঁড়ানোর ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলি স্বল্প সময়ে সুচারুভাবে বর্ণিত হয়েছে। সিস্টার নিবেদিতার নারী শিক্ষার প্রসার, আম্রপালীর বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ, নূরজাহানের দিল্লি দরবারের দায়িত্ব সামলানো কিংবা রাসমণি দাসীর ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো— প্রতিটি দৃশ্যে নারী স্বাধীনতার কথাই যেন সদর্পে ঘোষিত হয়েছে। আম্রপালির নৃত্যে দেবলীনা কুমার, ওয়াজেদ আলির বেশে অশোক বিশ্বনাথন, দ্বারকানাথ ঠাকুর রূপে বরুণ চন্দ, নূরজাহান রূপে রুবেলা চট্টোপাধ্যায় রানি রাসমণি রূপে রোহিণী রায়চৌধুরী মুগ্ধ করেন। এছাড়া রেশমী বসু (নিবেদিতা), কেশব রায় (মহাত্মা গান্ধী), ড. আনন্দ গুপ্ত (বিবেকানন্দ), দেবাশিস রায়চৌধুরী (রবীন্দ্রনাথ) প্রমুখরা স্ব-স্ব ভূমিকায় উজ্জ্বল। শুভা পালের ভাবনায় এবং বিপ্লব দাশগুপ্তের কথনে সমগ্র উপস্থাপনাটি বাঙ্ময় হয়ে ওঠে।