বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

দীপাবলিতে সতর্ক থাকবেন কীভাবে?
বাজি-মাইক-ডিজে বধিরতা আটকাবেন কীভাবে?

কানের সহনমাত্রা: এমনিতে ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবেল অবধি শব্দ কিছু সময়ের জন্য আমাদের কান সহ্য করতে পারে। অন্যদিকে হঠাৎ করে ১১০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ থেকে কানের তাৎক্ষণিক সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শব্দ থেকে কানে যেমন অ্যাকিউট সমস্যা তৈরি হতে পারে, তেমনই হতে পারে দীর্ঘকালীন সমস্যা।
অ্যাকিউট সমস্যা: হঠাৎ করে বাজি ফাটলে শব্দের প্রভাবে কানের পর্দা বা টিম্পানিক মেমব্রেন র‌্যাপচার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকী পর্দায় ফুটোও হয়ে যেতে পারে। সময়ে চিকিৎসা না হলে হতে পারে বধিরতা। বিশেষ করে বাচ্চাদের কান অনেক বেশি সংবেদনশীল। বাজি থেকে কানের ক্ষতি ছোট বাচ্চাদের বেশি হতে দেখা যায়। তাই বাচ্চাদের হাতে শব্দবাজি দেবেন না।
ডান কানের বিপদ বেশি: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাজি থেকে ক্ষতি ডান কানেই বেশি হয়। কারণ আমরা ডান হাতে বাজি ধরে ডান দিকেই ছুড়ে ফেলি। 
কানের ক্ষতি, উপসর্গ কী কী: প্রথমত, ওই ব্যক্তির কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। দুই, তিনি কানে কম শোনেন। তিন, কানে একটানা ভোঁ ভোঁ আওয়াজও শোনেন অনেকে। চার, বমি বা মাথাঘোরার সমস্যাও দেখা যেতে পারে। 
চিকিৎসা: উপসর্গ অবহেলা করবেন না। কারও কথা শুনে কানে তেল, জল ঢালবেন না। সরাসরি ইএনটি সার্জেনের পরামর্শ নিন। কারণ উচ্চমাত্রার শব্দের প্রভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কানের পর্দা ফাটার সঙ্গে কানের স্নায়ু, ককলিয়ারও ক্ষতি হয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা না গেলে সারা জীবনের মতো সঙ্গী হতে পারে বধিরতা। ওই সময়ে চিকিৎসা করালে চিকিৎসক ওষুধ দিয়ে বা প্রয়োজনে মাইক্রোসার্জারি করে কানের পর্দা ঠিক করা সম্ভব। নার্ভের ক্ষতিরও চিকিৎসা করা যায়। তাই বাড়ির কাছে পুজোর প্যান্ডেল থাকলে ও ক্রমাগত উচ্চমাত্রার হলে কানে তুলো পুরে রাখুন। কানে ইয়ারমাফও দিয়ে রাখতে পারেন। উপকার পাবেন।
ক্রনিক সমস্যা: কোনও এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে ৮০ ডেসিবেল তা তারও বেশি ডেসিবেলের শব্দ একটানা তৈরি হলে ওই এলাকার অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ড বেড়ে যায়। এর পিছনে দায়ী থাকে মাইক বাজানো, বাজি ফাটানো, মোটরগাড়ির হর্নের আওয়াজ ইত্যাদি। প্রত্যেক বছরেই দশেরা, দীপাবলির সময় দেখা গিয়েছে, সারা বছরের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ড বৃদ্ধি পায়। 
জনগোষ্ঠীর ক্ষতি: বেশ কয়েকদিন ধরে লাগাতার লাগামছাড়া উচ্চমাত্রার শব্দের কারণে কানের পর্দা হয়তো ফাটে না, তবে উচ্চমাত্রার শব্দের কারণে কানের অন্দরে থাকা ছোট ছোট অসিকেলস বা হাড় এবং যে নার্ভের মাধ্যমে শব্দ ব্রেনে যায়, সেই নার্ভও অনেকসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কানের ককলিয়া (বিশেষ ধরনের কুণ্ডলীকৃত হাড়) কিংবা নার্ভ ড্যামেজ হলে কিন্তু বধিরতা স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি। সবচাইতে চিন্তার ব্যাপার হল, অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ডের প্রভাবে কোনও একজন বা দু’জন ক্ষতিগ্রস্ত হন না। বরং সমগ্র এলাকার মানুষের কানের ক্ষতি হয়ে যায়। 
একটানা উচ্চ মাত্রার শব্দের প্রভাবে কানের যে ক্ষতি হয়, তার কিন্তু কোনও সুনির্দিষ্ট উপসর্গ থাকে না। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে রোগীর কানে ভার বোধ হওয়া, সোঁ সোঁ শব্দ হওয়ার মতো সমস্যাও তৈরি হয়। 
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক

20th     October,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ