বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা
 

মাটির প্রদীপ
সুব্রত দাস

কাঁকড়ার ঘিলু সিদ্ধ হয়েছে মেটে হাঁড়িতে, শুকনো পাতার জ্বালে। তাকে অতি যত্ন করে নুন লঙ্কা দিয়ে মেখেছে ফুলুদির সাত বছরের মেয়ে মিতালি। আজ দুপুরে সকলের পাতেই ভাত আর ওই ঘিলুমাখা।
মেনুটা দেখে মনে মনে কিছুটা মুষড়ে পড়ল সায়ন্তী। প্রথমে ঠিক বিশ্বাস করতে পারেনি। তার পর যখন বুঝল এইটাই সব, আর কিছু নেই, তখন বাঁ হাতের তালু দিয়ে কপালের ঘাম মুছে ডান হাতে ভাত স্পর্শ করল।
খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে। মাছ মাংস চাই না, এমনকী একটা ডিমসেদ্ধও চাই না, একটুখানি ডাল আর যে-কোনও একটু সব্জি হলেই দিব্যি খাওয়া হয়ে যায় সায়ন্তীর। অথচ তেমন কোনও ব্যবস্থা পাতে নেই।
গ্রামে দারিদ্র্য আছে ঠিকই। ঘরে ঘরে প্রবল দারিদ্র্য। চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন আজও মানুষের এই অবস্থা। ফুলুদিদের অবস্থাও খুবই খারাপ। ডালপালা, মাটি, বাঁখারি, নানা ধরনের বড় বড় পাতা, একটু আধটু প্লাস্টিক ইত্যাদি জড়িয়ে কোনরকমে মাথানত করে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাদের চালাটা। তাই বলে আমন্ত্রিত অতিথির পাতে এই মেনু? না হয় একটু ধারদেনাই করত! নিদেন পক্ষে একটু আলুভাজাও কি করা যেত না?
বেজার মনে মোটা লালচে চালের ফ্যানাফ্যানা একমুঠো ভাত দলা করে মুখে তুলল সায়ন্তী। ঘিলুমাখার দিকে তাকাতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু খেতে হবেই, এটা তার নিজের কাছে নিজেরই অঙ্গীকার। ছোট হাতে বেশি বেশি ভাত পরমানন্দে খেতে খেতে মিতালি হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে বলে উঠল, ‘মাসিমণি, একটু তেঁতুল নেবে? আনব?’ প্রশ্নটার মাথামুণ্ডু কিছু বুঝল না সায়ন্তী। তেঁতুল দিয়ে কী করবে সে? নিজেকে সামলে নিয়ে হাসার চেষ্টা করে সে বলল, ‘না রে মনা, তেতুঁল লাগবে না। তুই খা।’ তার পর আঙুলে করে একটু ঘিলু মুখে দিল। সেটা ভিতরে যেতেই মনে হল সামান্য সরষের তেল, কাসুন্দি, ধনেপাতা, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে মাখলে গরম ভাতের সঙ্গে খুব মন্দ লাগত না জিনিসটা। কিন্তু সেসব কোথায়!
নিজের মায়ের মুখটা মনে পড়ে সায়ন্তীর। ফের আঙুলে করে ঘিলু মুখে তোলে সে। ছোটবেলা থেকেই ওদের পরিবারের একটা শিক্ষা আছে। মা শিখিয়েছে, খিদের সময় যেখানে যতটুকু যা পাবে তা-ই খাবে, সোনামুখ করে খাবে। এটা খাই না, ওটা খাব না— এমন ধারা শিক্ষা হয়নি সায়ন্তীর। ফলে, সবটা ভাত এবং ঘিলুমাখা শেষ পর্যন্ত শেষ করল সে। পুরো এক গ্লাস জল খেয়ে আন্তরিক তৃপ্তির একটা ছোট্ট ঢেকুরও তুলে ফেলল এবং সেটা তুলে ফেলেই সঙ্গে সঙ্গে অভ্যাসবশত মুখে হাত ঠেকিয়ে বলল, ‘সরি।’
শহরে যারা ফুটপাথে থাকে, তারা রাস্তার আনাচেকানাচে নিজেদের ছেঁড়াফাটা জামাকাপড় ধুয়ে মেলে রাখে। অনেকটা তেমন ভাবেই মিতালিদের নোনা গ্রাম পড়ে আছে সমুদ্রের ধারে। এখানেই গত তিন-তিনটে দিন কাটিয়েছে সায়ন্তী, অ্যানথ্রপোলজির ফিল্ড ওয়ার্কের জন্য। চার বন্ধু মিলে উঠেছে এখান থেকে কিছুটা দূরে বেসরকারি একটা গেস্ট হাউজে। সেখানে খাওয়াদাওয়া সহ শহুরে জীবনযাত্রার মোটামুটি সমস্ত ব্যবস্থাই আছে। দেখে বেশ ভালো লেগেছিল সায়ন্তীর। কিন্তু গ্রামের ভিতরে যত সে ঢুকেছে তত টের পেয়েছে হ্যাভস্ আর হ্যাভ-নটস্-এর পার্থক্যটা বাস্তবে ঠিক কেমন। তার জন্য অ্যাসাইনড্ এই গোটা গ্রামটা সে হেঁটে হেঁটে ঘুরেছে জলের বোতল, ফোন, ক্যামেরা আর বিস্কুট নিয়ে। যেচে যেচে আলাপ করেছে বেশ কিছু ভাঙাচোরা মানুষের সঙ্গে। ছবি তুলেছে প্রচুর।
গ্রামে পুরুষ কম, ষাট-সত্তরের উপরে যাদের বয়স তারা কিছু জন আছে। কমবয়সি মহিলাও খুব কম। তবু কয়েকজন আছে। তাদের মধ্যে ফুলুরানি নস্করকে চমৎকার লেগেছে সায়ন্তীর। প্রথম আলাপেই লাজুক চাহনি আর মিষ্টি মুখের মেয়েটি বলেছিল, ‘দিদি বলে ডেকেছ যখন তাহলে আমাদের বাড়িতে একদিন খেয়ে যেতে হবে।’ সায়ন্তী ফুলুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, ‘ঠিক আছে ফুলুদি। কাল দুপুরে তোমার ওখানেই খাব।’
দক্ষিণ কলকাতার নতুন রেস্তরাঁর স্কয়ার টেবিলে গুগলির স্যুপ দেখে ফুলুদির কথাই প্রথম মনে এল সায়ন্তীর। কাঁকড়াসিদ্ধ খেতে খেতে গুগলির কথা আলোচনা করেছিল ফুলুদি। কথাগুলো মনে পড়ে সায়ন্তীর চোখটা ঝাপসা হয়ে আসে। জানলার পর্দা সরিয়ে কাচের ভিতর দিয়ে নীচে বয়ে চলা শহরের দিকে তাকায় সে। দীপ্তেশ গিয়েছে ওয়াশ রুমে। ভরদুপুরে এসির আরামদায়ক ঠান্ডায় সায়ন্তীর চোখটা বুজে আসে। অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে সে। একটু পর মিতালির সেই তেঁতুল অফার করার কথা ভেবে সায়ন্তী আনমনে হেসে ফেলে চোখ খুলল। দীপ্তেশ এসে উল্টো দিকে বসেছে। স্যানিটাইজারে হাত মুছে সে বলল, ‘হাসিস না। এসব আর শুধু আদিবাসীদের খাদ্য নয়। কলকাতাও কষিয়ে খাচ্ছে। হাই প্রোটিন।’ সায়ন্তী কোনও জবাব দিল না। একটা চামচ হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেটা দেখছে আনমনে। দীপ্তেশও যে ওকে দেখছে সেটা খেয়াল নেই ওর। একটু বিরক্তি আড়াল করার চেষ্টা করল দীপ্তেশ। স্বাভাবিক গলায় বলল, ‘কী হল? খা!’ সায়ন্তী এবারও কোনও কথা বলল না। শুধু একটু মাথা নাড়ল। নীরবে এক চামচ স্যুপ মুখে দিল। তারপর এমনভাবে একটা প্রশ্ন করল যেন আলোচনাটা চলছিলই। সায়ন্তী বলল, ‘আচ্ছা, তুই কখনও কাঁকড়াসিদ্ধ খেয়েছিস?’ দীপ্তেশ হেসে জবাব দিল, ‘কাঁকড়াসিদ্ধ? না, কাঁকড়া খেয়েছি, তবে সিদ্ধ না। তুই খেয়েছিস নাকি? কোথায়?’ সায়ন্তী স্যুপের মধ্যে চামচ নাড়তে নাড়তে গল্পটা বলছিল ওকে।
দীপ্তেশ ব্যাপারটা মোটামুটি আন্দাজ করে নিয়ে মাঝপথে বাধা দিয়ে বলল, ‘বুঝেছি বুঝেছি। আর বলতে হবে না।’ সায়ন্তী বুঝতে পারল না, দীপ্তেশের গলায় এত অস্থিরতা কীসের। একটা ঢোক গিলে গম্ভীর গলায় সে বলল, ‘সরি। আমি বুঝতে পারিনি তুই বোর হবি।’ দীপ্তেশ হাসার চেষ্টা করে বলল, ‘বোর হওয়ার ব্যাপার না। আসলে দেখ, গত বেশ কিছু দিন ধরে তোর এবং আমার দু’জনেরই কিছু অ্যাসাইনমেন্ট ছিল। ফলে অনেকদিন আমরা মিট করতে পারিনি। অভিয়াসলি হোয়াটস্অ্যাপে কথা হয়েছে। বাট স্টিল, এত দিন পর দু’জনে মিট করলাম, আর তুই সেই তোর একই সাবজেক্ট শুরু করলি।’ সায়ন্তীর অবাক ভাবটা যেন বেড়ে গেল। বলল, ‘আমি তো বাই দি বাই একটা এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করছিলাম। এতে তোর এভাবে রিঅ্যাক্ট করার মানেটা ঠিক বুঝতে পারলাম না কিন্তু?’ দীপ্তেশ অন্য কিছু কথা বলতে এসেছিল। শুরুতেই সব উল্টোপাল্টা হয়ে যাচ্ছে দেখে আরও ঘেঁটে গেল সে। দাঁতটা কিড়মিড় করে বলল, ‘ও কে, ফাইন। তা এবার কি তুই দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচিতে নামবি? তো যা, গিয়ে নাম। আর দাঁড়া, এই নে, কিছু ডোনেশনও নিয়ে যা।’ বলেই সে মানিব্যাগ বের করে পাঁচশো টাকার একটা নোট এগিয়ে দিল।
সায়ন্তী অত্যন্ত অবাক হয়ে দীপ্তেশের দিকে তাকাল। কই, এমন সুন্দর, নরম মনের ছেলেটাকে এতটা নির্মম আগে তো কখনও মনে হয়নি। এ কি সেই দীপ্তেশ? সায়ন্তীর মনে পড়ে বছর তিনেক আগে বড়বাজারের একটা কথা। এক বয়স্ক মুটে মাথায় ভারি বস্তা নিয়ে একপা-দুপা করে এগচ্ছিল। মে মাসের দুপুরে তার সারা শরীর দিয়ে ঘাম ঝরছিল। হাঁটু দুটো থরথর করে কাঁপছিল। তখন দীপ্তেশ একটা কাণ্ড করে বসল। সটান গিয়ে বলল, ‘চাচা, দেখি আমাকে দিন তো বস্তাটা। কোথায় যাবেন? আমি পৌঁছে দিচ্ছি।’ বৃদ্ধ ঘাবড়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। আশপাশের লোকজন সন্দেহজনক চোখে তাকাল। একজন জোয়ান মুটে এগিয়ে এসে হিন্দিতে বলল, ‘আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু এ আমাদের রোজের কাজ।’ আরও কয়েকজন দীপ্তেশকে বোঝাল। সেদিন সারাক্ষণ দীপ্তেশ শুধু একটা কথাই বলছিল যে, কেন একজন মানুষকে এমন পশুর মতো খাটায় লোকজন। সায়ন্তী দীর্ঘশ্বাস ফেলল। সেই দীপ্তেশ আর নেই। হি ইজ নাও অ্যান অ্যাসপিরেন্ট ওয়ান। সময় নিয়ে খুব শান্ত গলায় সায়ন্তী বলল, ‘দীপ্তেশ, আমি নামব কি না এখনও ভাবিনি। কিন্তু ছিঃ ছিঃ, তুই কখনও এভাবে নেমে যাস না যেন।’
ফাইনাল সেমেস্টারের ছাত্র দীপ্তেশ বুঝল সায়ন্তীর কথাটার ইঙ্গিত। আর বুঝল বলেই সে যেন আরও রেগে গেল। সত্যি বলতে কী, সায়ন্তীর মধ্যে একটা শিক্ষিত সুন্দরী নির্ঝঞ্ঝাট বউয়ের স্বপ্নই দেখছিল সে বছর চারেক ধরে। শান্তিনিকেতনে খোয়াইয়ের হাটে ওদের আলাপ হয়েছিল। প্রথম দেখাতেই দীপ্তেশ ভেবেছিল একেই তো সে খুঁজছে। কিন্তু স্বপ্নটা কিছুতেই ঠিকঠাক দানা বাঁধছিল না। এখন ভাবছে, একেই কি সে খুঁজেছিল? চার বছর আগের সায়ন্তী কি বদলে গিয়েছে? না কি দীপ্তেশের খোঁজ বদলে গিয়েছে? সায়ন্তী ওর কাছে যেভাবে এসেছিল তার একটা বদল হয়েছে ঠিকই। ওর মুখের কথার মধ্যে প্রচুর বইয়ের শব্দ। সে সব বইয়ের অনেকগুলোর নামই শোনেনি দীপ্তেশ। সায়ন্তী প্রায় সবসময়ই কোনও-না-কোনও প্রসঙ্গে এক ধরনের ফালতু আলোচনা জুড়ে দেয়। ওর হালচাল কিছুতেই ঠিক বোঝে না সে। দীপ্তেশ বলতে চায়, আরে ভাই, দেশে গরিব আছে সবাই জানে। তারা না খেয়ে মরে, অখাদ্য খেয়ে মরে সবাই জানে। তাই বলে প্রতিদিনের জীবনে সেগুলোকে টেনে এনে লাভ কী? লোকে খেতে পাচ্ছে না বলে আমাদের সব শখ-আহ্লাদ সব ছেড়ে দিতে হবে নাকি? দিস ইজ রিয়েলি ডিজগাস্টিং। তবু হাল ছেড়ে দেওয়ার আগে আরও কিছুটা চেষ্টা করতে চায় সে। কিন্তু আজও সায়ন্তীর রকমসকম বেগতিক দেখে রাগে কী করবে বুঝতে পারল না। শেষে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলল, ‘দেখ, এই বাড়াবাড়িগুলো ছাড় এবার। নিজের লাইফ সিকিওর্ড রেখে অন্যের জন্য কাঁদুনি গাইতে আমাদের লজ্জা করা উচিত।’
সায়ন্তীকে যেন কেউ গলা টিপে ধরেছে। বলতে ইচ্ছে করছে অনেক কথা। কিন্তু ভালো লাগছে না। নিজেকে অত্যন্ত ছোট মনে হচ্ছে। উঠে দাঁড়িয়ে সায়ন্তী বলল, ‘শোন, আমার একটা জরুরি কাজ আছে! আজ চলি।’ বলেই সে পা বাড়াল। কিন্তু আশ্চর্য, পা চলতে চাইছে না সায়ন্তীর। সম্পর্ক এমন ঠুনকোও কি হতে পারে? কিছুতেই বিশ্বাস হয় না তার। নিজেকে শক্ত মেয়ে বলেই সে বিশ্বাস করত। হঠাৎ চোখের অবাধ জল সে বিশ্বাসে চির ধরাল।
বড় রাস্তার ধারে এসে দাঁড়িয়েছে সায়ন্তী। দীপ্তেশ তার সামনে দিয়ে বাইকে চেপে সাঁ করে বেরিয়ে গেল। স্বাভাবিকের চেয়ে একটু যেন বেশি জোরেই গেল, যাওয়াটা ভালো করে বোঝানোর জন্যই বোধহয়। সায়ন্তীর দিকে একবার তাকাল পর্যন্ত না। ছেলেটার মধ্যে এত ঔদ্ধত্য জন্ম নিল কোথা থেকে? এত আত্মসর্বস্বতা নিয়ে কী করে হস্টেলের পিছনে বস্তির ছেলেগুলোকে পড়ায় ও? এসবের কোনও কুল কিনারা পায় না সায়ন্তী। ব্রেক-আপের যন্ত্রণা থেকেও অন্য কোনও একটা যন্ত্রণা বেশি বিদ্ধ করে তাকে। মনটা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। মাথার মধ্যে ঘুরছে, তাহলে কি কোনও দিন কোনও ভালোবাসা ছিল না ওদের মধ্যে? তা যদি না থাকে তো কী ছিল এত দিন ধরে? চিন্তাগুলো বড় একটা সাঁড়াশির মতো চেপে ধরতে চায় সায়ন্তীকে। কিন্তু যত সে আশপাশে তাকায়, তত যেন সাঁড়াশির আঁটুনি ঢিলে হয়। বাইরে ঝাঁকুনি লাগলেও একেবারে ভিতরটায় খুব একটা শূন্যতা তৈরি করতে পারে না।
সায়ন্তী দাঁড়িয়েই আছে রাস্তার ধারে। ওপাড়ে পুরু কাচঘেরা পাঁচতলা বাজারের গায়ে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের বিশাল ফ্লেক্স। তার পিছনে ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে সূর্যটা। সেই দিকে সায়ন্তীর চোখ আটকে রয়েছে। আচমকা একটা বাইক এসে ব্রেক কষল সায়ন্তীর সামনে। চমকে দু’পা পিছিয়ে গেল সায়ন্তী। তাকাল শব্দটার দিকে। একটা হেলমেট এগিয়ে দিয়ে দীপ্তেশ বলল, ‘বোস। যেতে যেতে তোর ফুলুদির বাকি গল্পটা শুনি।’ কিন্তু সায়ন্তী নড়ল না। দীপ্তেশ আবার বলল, ‘কী হল, বোস!’ সায়ন্তীর চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ল। দীপ্তেশ বাইক থেকে নেমে কাছে এসে দাঁড়াল। নরম গলায় বলল, ‘কাঁদছিস কেন বলত ফ্যাচফ্যাচ করে?’ সায়ন্তী চোখ মুছে বলল, ‘ওইটুকু মেয়ে অত যত্ন করে আমাকে কাঁকড়া মেখে দিল। অথচ ওর গালটা ধরে একবারও বললাম না যে, মামণি, মাখাটা খুব সুন্দর হয়েছে।’ দীপ্তেশ বলল, ‘পরশু রোববার, সকাল সকাল রওনা দিলে আমিও যেতে পারি। যাবি?’ 
অঙ্কন : সুব্রত মাজী

23rd     April,   2023
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ