বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিশেষ নিবন্ধ
 

সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? সেই কোটি টাকার প্রশ্নের উত্তরটা দেবে কে? প্রমাণ হয়ে গেল, দেশের আইন এখন সরকার ও তার অনুগতদের জন্য এক, আর বিরোধীদের জন্য উল্টো! নারী 
সুরক্ষা, সুবিচার শুধুই কথার কথা। সন্দেশখালি শুধুই ভোটে বাজার গরম করার পণ্য মোদি রাজত্বে। সত্যাসত্য জানি না, তবে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তার পরিণাম ভয়ঙ্কর। যদি সত্যি গোটা ঘটনাটা সাজানো হয়, তবে তদন্ত করে চক্রান্তকারীদের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। এই বাংলায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে মহিলা নিগ্রহের ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত হওয়াও জরুরি। আইনি রক্ষাকবচ আছে মানেই প্রভাবশালী ব্যক্তি সন্দেহের ঊর্ধ্বে, এই ব্যাখ্যা কতদূর মানা সম্ভব?
পলাতক বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি, ললিত মোদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আর্থিক কেলেঙ্কারির। ব্যাঙ্ক তছরুপের। মোটা ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার। দশ বছর আগে মোদিজির গালভরা গ্যারান্টি ছিল, সন্ত্রাসবাদী দাউদ সহ সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনার। ভোটের পর ভোট গিয়েছে, সেই কথা কেউ রাখেননি। এবার যিনি পালালেন তিনি সন্দেশখালির শাহজাহান, বেহালার পার্থ কিংবা পলাশীপাড়ার মানিক নন। ইডি, সিবিআইয়ের তৎপরতায় ওঁরা সবাই বর্তমানে জেলে। বিরোধীদের আশ্রয়ে থাকা কোনও কেউকেটা দেশের সীমানা পেরিয়ে চম্পট দেওয়ার সাহস পাননি ইদানীং। বরং গর্হিত অপরাধ করেও যিনি রহস্যজনকভাবে জার্মানি পালাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদেরই বিশেষ আশীর্বাদ ধন্য জোটসঙ্গী। এবারের নির্বাচনে হাসান লোকসভা কেন্দ্রে ‘৪০০’ জয়ের কাণ্ডারী, মায় ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর উজ্জ্বল মুখ। কর্ণাটকের হাই প্রোফাইল কেন্দ্রে এনডিএ জোটের তরুণ প্রার্থী। শিক্ষিত (সু)পুরুষ, বয়স ৩৪। আর খানদান? প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার নাতি, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর ভাইপো। পিতৃপরিচয়ও লম্বা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এইচ ডি রেভান্নার ছেলে। এহেন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ অগাধ সম্পত্তির মালিক প্রোজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ গণধর্ষণের, যা আধুনিক সমাজে আইনের চোখে সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবেই স্বীকৃত। একটা নয়, দু’টো নয়, নারী নির্যাতনের সাড়ে তিন হাজার ভিডিও ক্লিপে শিকার ৪০০’র বেশি মহিলা। সংখ্যাটা সম্ভবত সন্দেশখালির চেয়েও বেশি। এনিয়েই ভোট বাজারে নরকগুলজার, যা ফাঁস করেছেন পলাতক প্রোজ্জ্বলেরই গাড়ির চালক। এই ঘটনা সামনে আসতেই গোটা দেশে ‘অব কি বার ৪০০ পার’ স্লোগান বদলে গিয়েছে ওই চারশো মহিলার সুবিচার ও দোষীর কঠোরতম শাস্তি দাবির উচ্চকিত ঢক্কা নিনাদে। কর্ণাটকে ৪৮ ঘণ্টা পরেই বাকি ১৪ আসনে ভোট। বারবার প্রচারে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির নারী সুরক্ষা, নারীশক্তির উত্থান ও উন্নয়নের বাণী ভেসে গিয়েছে কৃষ্ণা ও কাবেরীর শান্ত স্রোত বেয়ে। সেই অভিঘাতেই বিপর্যয়ের প্রমাদ গুনছে বিজেপি ও দেবেগৌড়ার জেডিএস। কর্ণাটকে গতবারের ২৫ আসনের অর্ধেকও মিলবে তো! কন্নড়ভূমে ভরাডুবি হলে দক্ষিণ ভারতের ১৩০ আসনের মধ্যে গতবারের পাওয়া ৩০টি আসন জেতাও যে অনিশ্চিত। দশের নীচে নেমে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তখন?
একেই বোধহয় বলে বিনা মেঘে বজ্রপাত! বিশ্বকাপের ফাইনালে পরপর সেটপিস কিংবা পেনাল্টি মিস করার শামিল। শশী থারুর বলেছেন, ‘অব কি বার ৪০০ পার’ আসলে নরেন্দ্র মোদির একটা ‘জোক’ ছিল, প্রকাণ্ড ঠাট্টাও বলতে পারেন। এখন বোঝা যাচ্ছে, ৩০০ আসন জেতাই অসম্ভব। গেরুয়া শিবিরের লড়াইটা এই মুহূর্তে ২০০ পার হবে না, ১৭০-এ থমকে যাবে, এই অনিবার্য প্রশ্নের সামনে ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ বাংলায় সিপিএমের মতো তামিলনাড়ু ও কেরলে এবারও শূন্য খাতাই থাকবে গেরুয়া শিবিরের। বিহার ও মহারাষ্ট্রে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজেপির হাতের বাইরে। বাংলাতেও আসন কমছে। তার উপর হঠাৎই উড়ে আসা কর্ণাটকের ‘সেক্স স্ক্যান্ডাল’ ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে বিজেপির ভাবমূর্তি। নরেন্দ্র মোদির বড্ড ‘আদর’-এর শাহজাদা বলেছেন, ওটা ‘সেক্স স্ক্যান্ডাল’ নয় আক্ষরিক অর্থেই ‘গণধর্ষণ’, যা চলেছে বছরের পর বছর। এত বড় ঘটনা সরকার ও প্রশাসনের কেউ জানত না, মহিলা সমাজ এদের বিশ্বাস করবে? 
দক্ষিণ ভারতের একমাত্র গেরুয়া সম্ভাবনার গর্ভগৃহে শেষমুহূর্তে এমন হবে, কে জানত? ৪০০ মহিলার ধর্ষণকারী প্রোজ্জ্বল রেভান্নার কীর্তি কীভাবে সামলাবেন তা নিয়েই টালমাটাল বিজেপি। এমন হাই প্রোফাইল একজন কোন জাদুতে সবার চোখে ধুলো দিয়ে জার্মানিতে পালাতে সক্ষম হলেন? বিদেশ মন্ত্রক কবে থেকে এমন স্থবির হয়ে গেল? চোর পালালে যেমন বুদ্ধি বাড়ে, তেমনি প্রোজ্জ্বল বিদেশে পাড়ি দেওয়ার দু’রাত পর লুকআউট নোটিস জারি হল! উপায় না দেখে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে বাবা-কাকার পারিবারিক দল জনতা দল সেকুলার তাঁকে লোক দেখানো সাসপেন্ড করেছে। আর তাঁর মহামান্য পিতা বিবৃতি দিয়েছেন, ভিডিও ক্লিপগুলি তো সব পুরনো। এদিয়ে কী প্রমাণ হয়? ভাবটা এমন, চার বছর আগে খুন করে কেউ ধরা পড়লে বুঝি গ্রেপ্তার হবেন না। অভিযোগ, 
সবকিছু জেনেবুঝেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার নাতির হয়ে প্রচারে পর্যন্ত অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর তা নিয়েই কর্ণাটকে শেষ দফার ভোটের আগে ঝড় শুরু হয়েছে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে সরকারি আনুকূল্যই ৩৪ বছর বয়সি এক সিটিং এমপিকে পালাতে সাহায্য করেছে। অভিযোগ ‘বিনা ভিসায়’ তাঁর ইউরোপ যাত্রাই প্রমাণ করে মোদি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় নারীর সম্মান অনেক পিছনে। উল্টোদিকে মমতার সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই জলজ্যান্ত সাক্ষী, গরিব প্রান্তিক নারীশক্তির পাশে দাঁড়াতে সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও তৃণমূল সরকার কতটা দায়বদ্ধ। এই মুহূর্তে সওয়া দু’কোটি মহিলা এর আওতায়। এই সংখ্যাটাই প্রমাণ করে, সরকার কত দ্রুত এই প্রকল্পকে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে সঙ্কল্পবদ্ধ। 
প্রোজ্জ্বল রেভান্না যদি দক্ষিণের উদাহরণ হয়, তাহলে উত্তরের হিন্দি বলয়ে করণভূষণ সিংও কম যায় কীসে? বিজেপির সন্দেশখালি নিয়ে বড় বড় লেকচার, নারীসুরক্ষার বুলি ধুলোয় মিশে যায় স্রেফ পারিবারিক কারণে নারী লাঞ্ছনাকারী কুস্তিগির ফেডারেশনের কর্তা ব্রিজভূষণের ছেলে করণভূষণ সিং মনোনয়ন পাওয়ায়। করণভূষণের কেন্দ্র কাইজারগঞ্জ উত্তরপ্রদেশের রাজপুত প্রধান এলাকা। ভোটের বাজারে হিন্দি বলয়ের ভোটে রাজপুতদের খুশি রাখা মহিলাদের সুবিচার দেওয়ার তুলনায় বিজেপির কাছে বড় অগ্রাধিকার। করণভূষণের পিতা বিজেপির ছ’বারের এমপি ব্রিজভূষণ নারায়ণ সিং নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর রাজপথে দীর্ঘ সময় ধর্না বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করা আর্ন্তজাতিক মঞ্চে পদক জয়ী কুস্তিগিররা। তাঁরা অনশন পর্যন্ত করেছেন। ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে থেকেছেন। সবার একটাই দাবি, ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজধানীর বুকে বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়লেও তাতে কান দেয়নি মোদি সরকার। সাক্ষী মালিকরা কাঁদতে কাঁদতে তাঁদের সম্মান ও কষ্টার্জিত পদক, শংসাপত্র ত্যাগ করেছেন, তবু ব্রিজভূষণ অধরাই থেকে গিয়েছেন। টনক নড়েনি কারও। দীর্ঘ অপেক্ষার পর শেষ মুহূর্তে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হল। এবং প্রত্যাশামতোই রাজপুত ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে অভিযুক্ত কুস্তিগিরের ছেলেকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কই সন্দেশখালির রেখা পাত্রের মতো সাক্ষী মালিককে তো প্রার্থী করা হল না! বিজেপির বিবেক কি বেছে বেছে কাঁদে? যদি এটাই বিচার হয়, তাহলে কাইজারগঞ্জে পরিবারবাদ খতম করার অঙ্গীকারই বা কোথায় গেল মোদিজি? একটা পরিবার কী করে এত অপরিহার্য হল আপনার জমানায়? নারীর সম্ভ্রমই যিনি রক্ষা করতে পারেন না তাঁর ছেলেকেই কেন টিকিট দিতে হল বিজেপিকে? কী বার্তা দিলেন অমিত শাহরা? নারীর সম্মান নয়, গালভরা সুরক্ষাও নয়, ভোটব্যাঙ্ক ও পরিবারবাদকে টিকিয়ে রাখা আপনারও অগ্রাধিকার। আপনার বিবেকও জাগে শুধু বিরোধী-শাসিত রাজ্যে কিছু ঘটলে! ঝাঁপিয়ে পড়েন, লেলিয়ে দেন ইডি ও সিবিআইকে।
অনেক আগে মাঠে নেমেও এবং ছলেবলে বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টার কসুর না করেও নরেন্দ্র মোদি আজ ভয়ঙ্কর নার্ভাস। অঙ্ক মিলছে না। তিনি নার্ভাস বলেই নির্বাচন কমিশনও ‘শেকি’। বিজেপিকে বাঁচাতে কমিশনের তরফে কারচুপি করা হচ্ছে বলেও তোপ দাগছে বিরোধীরা। প্রথম দু’দফার ভোটের বিস্তারিত হিসেব এল অনেক হই-হট্টগোলের পর। দেখা গেল, ভোটের দিন সন্ধ্যার দেওয়া হিসেবের তুলনায় ভোট বেড়ে গিয়েছে ৫.৭৫ শতাংশ! কোন রহস্যে ভোট শতাংশের এই বৃদ্ধি। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা নিশ্চিতভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর।  একে তো ভোটের ময়দানে ভিড় করে রয়েছে বিভাজন, ঘৃণা ভাষণ আর এক রাশ মিথ্যার বেসাতি। নেই রুটি রুজির কথা। বেকার সমস্যা, মূল্যবৃদ্ধি থেকে মুক্তির আলোচনা। যুব সমাজের ভবিষ্যতের রূপরেখা।
হাওয়া দিয়ে ফোলানো ফাঁপানো এই ভোটরঙ্গকে কটাক্ষ করতেই শ্যাম রঙ্গিলা নেমেছেন বারাণসীর মঞ্চে। পেশায় কৌতুক শিল্পী। ২৮ বছর বয়সি এই কমেডিয়ান মোদির বিরুদ্ধে লড়বেন। বারাণসীকে বেছে নেওয়ার কারণ, প্রধানমন্ত্রী একবার বিরোধীদের নিশানা করে বলেছিলেন, আপনি যে ভাষা বোঝেন, আপনাকে সেই ভাষাতেই জবাব দেব। বারাণসীতে তাই সামান্য এক কমেডিয়ান দাঁড়াচ্ছেন, মোদিকে তাঁর ভাষায় জবাব দিতে। শ্যামের বক্তব্য স্পষ্ট, সবাই যখন আসল সমস্যা ভুলিয়ে রাজনীতির নামে কমেডি করছেন, তাহলে আমিও কমেডির মাধ্যমে রাজনীতি করব। বলা বাহুল্য, মোদির কণ্ঠ অবিকল নকল করে প্রচার চালাবেন তিনি। ‘মন কি বাত’ নয় তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত একটি অনুষ্ঠান করেন, যার নাম—‘ঢং কি বাত’। সেখানেই মোদিজির গলা নকল করে জবাব দিচ্ছেন শ্যাম। সামান্য এক শিল্পী বলছেন, সুরাত কিংবা ইন্দোরের মতো আমি লড়াই থেকে পিছু হটব না। তাই বারাণসীতে ভোট হবেই। হারব, অনেক অনেক ভোটে হারব, তবু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জমি ছাড়ব না। মোদিজিও বিলক্ষণ শুনতে পাচ্ছেন এক মামুলি কৌতুক শিল্পীর নিছক জেদের পিছনে দেশের নারীশক্তির অসন্তোষ। শ্রমিকের হতাশা, যুবসমাজের আক্ষেপ। পরিযায়ীদের কান্না, কৃষকের ক্ষোভ! আপনি যতই চেষ্টা করুন ‘বিশ্বগুরু’ হলেও এবারও দেশ ঘুরে এত সভা করেও কি সব ধর্ম ও সম্প্রদায়কে ছুঁতে পারলেন? কিংবা চেষ্টা করলেন? যদি করতেন তাহলে বলতেন না, শাহাজাদা ক্ষমতায় এলে পাকিস্তানে উৎসব হবে! এ আপনার পুরনো খেলা, মানুষ কিন্তু আস্তে আস্তে ধরে ফেলছে।
মোদিজি জেনে রাখুন, এবারও আপনার কাজেকর্মে বাংলার নারীসমাজ বিরক্ত। তাই গ্রাম বাংলার গরিব মা বোনেরা এবারও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পক্ষেই দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো হলে বাংলার নারী সমাজ ভোটযন্ত্রে তার যোগ্য জবাব দেবে।

5th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ