বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
অমৃতকথা
 

ভক্তসঙ্গ

তোমার ভক্তসঙ্গ দুর্লভ, ভক্তসঙ্গ ক’রে ঠিক বুঝতে পারি না, তুমি কেমন! বৈষ্ণব যিনি তিনি ‘বিষ্ণুই সব আর কেউ কিছু নন’ ইত্যাদি বলেন। শৈব ভক্ত উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করেন, বিষ্ণু শিবের কিঙ্কর হবার যোগ্য নন। শক্তিভক্ত বলেন—আমরাই সকলের বড়। এসব ভক্তসঙ্গে তৃপ্তি পাই না। এঁরা তোমাকে খণ্ড রাখতে চান অথবা ইষ্ট-নিষ্ঠা আনবার জন্য এও প্রয়োজন—এও তোমারই ইচ্ছা। সেবা করি এ সাধ্য নেই, তথাপি কিছু করি একাদশীর উপবাসাদি, তোমার পর্ব্বের অনুমোদন করছি বটে, তবে তাতে অনেক ত্রুটি থাকে। তারপর তোমার কথা শ্রবণ, পাঠ ও ব্যাখ্যায় সর্ব্বদা রতি এও হয়নি; তোমার কথা ভিন্ন অন্য কথা বলি। তোমাকে ভুললে যেন আমার কি হারিয়ে গেছে মনে হয় না তো! তোমার পূজায় নিষ্ঠা এবং সতত নামকীর্ত্তন তাই বা কৈ? তুমি উপায় বলেছ, আমি সে উপায় অবলম্বন ঠিকভাবে করতে পারছি না। দাও, তুমি শক্তি দাও। তুমি তোমাকে ধরবার বুঝবার শক্তি দাও। আমি তোমাকে দৃঢ় করে ধ’রে থাকি। তুমি ছাড়া কিছু যেন বলি না, দেখি না, শুনি না। আজ প্রণব-চিন্তার মধ্যে একটি কথা বেশ দিলে—আকার, উকার, মকার, নাদ, বিন্দু, কলা। কলাটি কি? এই চিন্তায় তোমার উপনিষদের কথা মনে করিয়ে দিলে।
“ব্রহ্ম চতুষ্পাৎ”
প্রকাশবান্‌ নামক ব্রহ্মের চতুষ্কল পাদ।
“প্রাচী দিক্‌ কলা, প্রতীচী দিক্‌ কলা, দক্ষিণ দিক্‌ কলা, উদীচী দিক্‌ কলা।।” এই চারটি দিক্‌ হল তোমার প্রকাশবান্‌ নামের চতুষ্কল পাদ। বুঝা গেল চতুর্দিক্‌ তোমার কলা। আচ্ছা, তারপর তোমার অনন্তবান্‌ নামের চতুষ্কল পাদ।
“পৃথিবী কলা, অন্তরিক্ষং কলা, দ্যৌঃ কলা, সমুদ্রঃ কলা।”
পৃথিবী, আন্তরিক্ষ, দ্যৌ, সমুদ্র এ ত’ তোমার কলা। তোমার জ্যোতিষ্মান্‌ নামের চতুষ্কল পাদ।
“অগ্নিঃ কলা, সূর্য্যঃ কলা, চন্দ্রঃ কলা, বিদ্যুৎ কলা।”/ অগ্নি, সূর্য্য, চন্দ্র, বিদ্যুৎ তোমার কলা।/ তোমার আয়তনবান্‌ নামের চতুষ্কল পাদ।/ “প্রাণঃ কলা, চক্ষুঃ কলা, শ্রোত্রং কলা, মনঃ কলা।”/ তাহলে প্রাণ, চক্ষু, কর্ণ, মন সব তোমার কলা। চতুর্দিক্‌ই তোমার কলা।
পৃথিবী, আন্তরিক্ষ, দ্যৌ, সমুদ্র তোমার কলা। অগ্নি, সূর্য্য, চন্দ্র, বিদ্যুৎ তোমার কলা। প্রাণ, চক্ষু, শ্রোত্র, মন তোমার কলা। দেখ, তোমার এই অগ্নি-সূর্য্য-চন্দ্র-বিদ্যুৎ কলাযুক্ত জ্যোতিষ্মান্‌ পাদের কথায় গৌতমীয় তন্ত্রের ত্রিবিধ কুণ্ডলিনীর কথা মনে প’ড়ল। মূলাধার হতে হৃদয় পর্য্যন্ত ওঁকারময়ী বহ্নিকুণ্ডলিনী, হৃদয় হ’তে কামবীজময়ী সূর্য্য-কুণ্ডলিনী ভ্রূমধ্য পর্য্যন্ত এবং ভ্রূমধ্য হতে মায়াবীজময়ী চন্দ্র-কুণ্ডলিনী ব্রহ্মরন্ধ্র পর্য্যন্ত। তারপর বিন্দু-নাদময় বাসুদেব তুরীয়। ভিতরেও যেমন অগ্নি, সূর্য, চন্দ্র, বাইরেও সেরূপ। কালাতীতা প্রকৃতি ষোলকলার অতীত।
‘শ্রীওঙ্কারনাথ-রচনাবলী’(১৪ খণ্ড) থেকে

3rd     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ