বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
খেলা
 

মুম্বইকে হারিয়ে প্লে-অফে নাইট রাইডার্স

সুকান্ত বেরা, কলকাতা: হাওয়া বদলের ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। ওয়াংখেড়েতে ১২ বছর পর মুম্বইকে বশ মানায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। শনিবার ফিরতি লড়াইয়েও শেষ হাসি হাসল কেকেআর। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের ১৮ রানে হারিয়ে প্লে-অফে পৌঁছে গেল শাহরুখ খানের দল। বাকি এখনও দু’টি ম্যাচ। শ্রেয়স আয়ারদের লক্ষ্য পয়েন্ট তালিকায় প্রথম দু’য়ে থাকা। তাহলে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করা যাবে। হারলেও থাকবে আরও একটা সুযোগ। তবে বেগুনি জার্সিধারীদের শরীরীভাষা দেখে মনে হচ্ছে, খেতাবি লড়াইয়ের বৃত্তে তাঁরা বেশ ভালো মতোই ঢুকে পড়েছেন। 
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নাইটরা এত সহজে জিতবে সেটা অবশ্য ভাবা যায়নি। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নাইট রাইডার্স কোনওক্রমে ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে তোলে ১৫৭। মনে হয়েছিল সহজেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেবে মুম্বই। সেই সম্ভবনা আরও উস্কে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা ও ঈশান কিষান ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান তোলার পর। প্রেস বক্সে অনেকেই তখন পচা শামুকে নাইটদের পা কাটার কাহিনী লেখা শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘোরালেন দুই স্পিনার সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। তাঁদের সাঁড়াশি আক্রমণেই তৈরি হয় জয়ের ভিত। একে একে ফিরলেন ঈশান কিষান (৪০), রোহিত শর্মা (১৯)। তবুও আশা ছিল মধ্যরাতে ইডেনে সুর্যোদয়ের। সেই সম্ভাবনায় জল ঢালেন রাসেল। তাঁর বলে সূর্যকুমার (১১) আউট হতেই ম্যাচে ফেরার অক্সিজেন পেয়ে যায় কেকেআর। হার্দিক পান্ডিয়াকে ২ রানে বরুণ চক্রবর্তী বলে ফিরতেই গর্জে ওঠে গ্যালারি। কিছুক্ষণ আগেই এই দর্শকরাই রোহিতের জন্য গলা ফাটাচ্ছিলেন। আইপিএল আসলে রঙ্গমঞ্চ। ম্যাচের মতো সমর্থকরাও মুহূর্তে দল বদলায়। ব্যর্থ টিম ডেভিডও (০)। পর পর উইকেট পতনে মন্থর হয় মুম্বইয়ের রান রেট। আস্কিং রেট চলে যায় নাগালের বাইরে। শেষ ৬ বলে মুম্বইয়ের দরকার ছিল ২২ রান। হর্ষিত রানার হাতে বল তুলে দেন শ্রেয়স। উদীয় পেসারই জয়গান লেখেন জোড়া উইকেট নিয়ে। মুম্বই থামে ৮ উইকেটে ১৩৯ রানে। উল্লেখ্য, চলতি আসরে ইডেনে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলল নাইটরা। এদিন জয়ের পর মাঠ প্রদক্ষিণ করে দর্শকদের ধন্যবাদ জানান শ্রেয়সরা।
বৃষ্টির কারণে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা পর ম্যাচ শুরু হয়। ওভারসংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৬। টস জেতার পর ফিল্ডিং নেয় মুম্বই। প্রথম ওভারেই ফিরলেন ফিল সল্ট (৬)। পরের ওভারে সুনীল নারিন। ধাক্কা সামলে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব বর্তায় ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আয়ারের কাঁধে। সঙ্গী হয়েছিলেন বেঙ্কটেশ আয়ার। যিনি প্রথম সাক্ষাতে মুম্বইয়ের বোলারদের তুলোধনা করেছিলেন। দুই আয়ারের ব্যাটে স্বস্তি ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কম্বোজের বলে শ্রেয়সের (৭) লেগ স্টাম্প ছিটকে যাওয়ার দৃশ্য সত্যিই লজ্জায় ফেলার মতো। এবারের আইপিএলে তিনি যেভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছেন, তাতে পরের মরশুমে রোহিত শর্মা নাইটদের অধিনায়ক হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। 
চোট সারিয়ে ফেরা নীতীশ (৩৩) ও বেঙ্কটেশ (৪২) যদি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। রাসেল (২৪) ও রিঙ্কু (২০) নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ৮ বলে ১৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে কিছুটা মুখরক্ষা করেন রমনদীপ। ব্যাটিংয়ে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। প্লে-অফের আগে তা ভরাট করা জরুরি। তবে এবারের আইপিএলে নাইটরা দুরন্ত ফর্মে। পরিসংখ্যান বলছে এর আগে ২০১৪ সালে পর পর দু’বার মুম্বইকে হারিয়েছিল কেকেআর। সেবার খেতাব জিতেছিল শাহরুখের দল। চব্বিশের মঞ্চে কি তাহলে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলছে, এই প্রশ্ন এখন সমর্থকদের মনে।

12th     May,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ