বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
খেলা
 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে রিয়াল মাদ্রিদ

ম্যাঞ্চেস্টার: রুডিগারের শট জালে জড়াতেই সাইড-লাইন থেকে সকলে দৌড় লাগালেন মাঠের মাঝখানে। তবে কোচ আনসেলোত্তির শরীরী ভাষায় কোনও পরিবর্তন নেই। শান্ত, স্থির মনেই এগিয়ে গেলেন প্রতিপক্ষ ডাগ-আউটে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলাকে সান্ত্বনা জানিয়ে হাত নাড়লেন গ্যালারির দিকে। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যান সিটির দীর্ঘ ৬ বছরের অপরাজেয় দৌড় থামিয়ে টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালে পৌঁছল রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার এতিহাদ স্টেডিয়ামে টাই-ব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জিতল আনসেলোত্তি-ব্রিগেড। উল্লেখ্য, প্রথম লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফল ছিল ৩-৩। বুধবার ফিরতি ম্যাচে ৯০ মিনিটের লড়াই শেষ হয় ১-১ গোলে। অতিরিক্ত সময়েও স্কোর লাইনে বদল ঘটেনি। খেলা গড়ায় টাই-ব্রেকারে। এই পর্বে প্রতিপক্ষের দুই ফুটবলারের শট রুখে রিয়ালকে সেমি-ফাইনালের টিকিট এনে দেন তরুণ গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। আর ঘরের মাঠে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর রিয়াল মাদ্রিদ একে অপরের পরিপূরক। বুধবার রাতে এই কথাটা ফের একবার প্রমাণ করলেন ভিনিসিয়াস-রডরিগোরা। এক বছর আগে এতিহাদ স্টেডিয়ামেই ৪ গোলে লজ্জাজনক ভাবে হেরে টুর্নামেন্টে থেকে বিদায় নিয়েছিল আনসেলোত্তি-ব্রিগেড। চলতি মরশুমেও ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন সিটিজেনরা। তবে এই রিয়াল হারের আগে হারতে শেখেনি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তা তারা ভালোই জানে। সুযোগ পেলেই প্রতি-আক্রমণ শানিয়ে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভুল করেননি ভিনিসিয়াসরা। ১২ মিনিটে এমনই এক সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন রডরিগো (১-০)। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে শুরু হয় ম্যান সিটির একতরফা আক্রমণ। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেন গ্রিলিস-ফোডেনরা। তবে কখনও পোস্ট তো কখনও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক লুনিন তাঁদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও রিয়ালের রক্ষণ ছিল জমাট ও সুসংগঠিত। কিন্তু ৭৬ মিনিটে রুডিগারের মুহূর্তের ভুল কাজে লাগিয়ে সিটিকে সমতায় ফেরান ডি ব্রুইন (১-১)। অতিরিক্ত সময়েও ম্যান সিটির আক্রমণ রুখতেই ব্যস্ত ছিল রিয়াল ডিফেন্স। প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে মোট ৩৩টি শট নেয় সিটিজেনরা। তবে কিছুতেই দ্বিতীয় গোলের দেখা মেলেনি। পেনাল্টি শুট-আউটেও শুরুটা দারুণ করে সিটি। লুকা মডরিচের প্রথম শটটাই রুখে দেন এডেরসন। সেখান থেকে নাটকীয় মোড়। পর পর বের্নার্ডো সিলভা এবং মাতেও কোভাসিচের শট বাঁচিয়ে রিয়ালকে অ্যাডভান্টেজ এনে দেন লুনিন। শেষ পর্যন্ত তা ধরে রেখে ৪-৩ ব্যবধানে শেষ হাসি হাসে আনসেলোত্তি-ব্রিগেড।
শেষ চারের লড়াইয়ে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। জয়ের পর কোচ আনসেলোত্তি বলেন, ‘সবাই ভেবেছিল আমাদের দৌড় শেষ। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ কখনও হাল ছাড়ে না। এর আগেও একাধিকবার এমন জায়গা থেকে আমরা জিতে মাঠ ছেড়েছি। আসলে এই দলের ডিএনএ-তে লড়াই রয়েছে। এর পুরো কৃতিত্ব ফুটবলারদের। তবে এখনও কাজ শেষ হয়নি।’
ম্যান সিটি- ১            :             রিয়াল মাদ্রিদ- ১
(ডি ব্রুইন)                                    (রডরিগো)
(টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জয়ী রিয়াল)

19th     April,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ