বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
খেলা
 

সাক্ষী-বজরংদের সমর্থনে
রাজপথে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী
কেন অভিযুক্তকে আড়াল করছে কেন্দ্রীয় সরকার, প্রশ্ন মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের সমর্থনে সুর চড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাক্ষী মালিক-বজরং পুনিয়াদের জন্য বুধবার পথে নামলেন তিনি। ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছিলেন দেশের পদকজয়ী কুস্তিগিররা। তবে গত রবিবার তাদের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণ করে দিল্লি পুলিস। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দ্বিধা করেননি লড়াকু মমতা। এদিন তিনি পাশে পেলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং একঝাঁক প্রাক্তন ক্রীড়াবিদকে।  
কল্লোলিনী তিলোত্তমার প্রবল গরম উপেক্ষা করে হাজরা থেকে শুরু হয় প্রতিবাদী পদযাত্রা। প্রারম্ভিক পর্বে শ’পাঁচেক মানুষ ছিলেন। তবে এলগিন রোডের কাছে মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎ যোগ দেওয়ার পরেই সেই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হল। গাড়ি থেকে নেমে মিছিলে হাঁটতে শুরু করেন লড়াকু জননেত্রী। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতে তুলে নিলেন প্ল্যাকার্ড, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। পদযাত্রার নেতৃত্বভার অচিরেই বর্তাল তাঁর চওড়া কাঁধে। এক্সাইড মোড় পেরিয়ে তিনি এগিয়ে চললেন তারামণ্ডলের দিকে। এই পর্বে পথ চলতি মানুষকেও সঙ্গে পেলেন তিনি। এরপর মমতার নির্দেশে বাঁ দিকে ঘুরে মিছিল ধরল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের রাস্তা। সেখানেও সাক্ষী মালিকদের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আম আদমি। রবীন্দ্র সদনের পিছনের গেটে এসে থামল প্রতিবাদ মিছিল। মুখ্যমন্ত্রী মাইক হাতে তুলে প্রথমেই তীব্র সমালোচনায় ভরিয়ে দিলেন ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে। অবিলম্বে তাঁর গ্রেপ্তারির দাবিও জানান। পাশাপাশি বলেন, ‘রবিবার যে ঘটনা ঘটল তা অত্যন্ত লজ্জার। কেন ব্রিজ ভূষণকে কেন্দ্রীয় সরকার আড়াল করছে? আমরা কুস্তিগিরদের বিচার চাই। মঙ্গলবারই আমি ভিনেশের সঙ্গে কথা বলেছি। যে কোনও সহযোগিতায় বাংলার মানুষ ওদের পাশে আছে। আমাদের একটা দল কয়েক দিনের মধ্যেই দিল্লি রওনা দেবে। এখানেই শেষ নয়। লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব আমরা। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটেয় ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে মোমবাতি জ্বালানোর কর্মসূচি রয়েছে। একটাই দাবি, বিচার চাই।’ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘খেলোয়াড়রা দেশের সম্পদ। তাঁদের বিরুদ্ধে এই অমানবিক আচরণ কখনওই মানা যায় না। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানসূত্র বের করতে হবে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’একই সুরে সুর মেলালেন মিছিলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন ফুটবলাররা। দুই প্রধানে খেলা দেবজিৎ ঘোষের বক্তব্য, ‘পুলিস অনেক নমনীয় হতে পারত। পদকজয়ীদের প্রতি এই আচরণ অত্যন্ত নিন্দার।’ মেহতাব হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রের লজ্জার দিন। পদকজয়ীদের এমন দিনও দেখতে হল! দেশের সমস্ত ক্রীড়াবিদদের একজোট হয়ে এই নিন্দাজনক আচরণের প্রতিবাদ করা উচিত।’

1st     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ