বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

প্রচারে বেরিয়ে অধীর ও নির্মলের সৌজন্য বিনিময়, কটাক্ষ তৃণমূলের

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: ‘রাস্তা কারও একার নয়। বরং তাকেই একদিন রাস্তা ছাড়তে হয়, যার স্পর্ধা আকাশ ছুঁয়ে যায়।’ কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার লাইন যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখে মুখে ফিরল। শেষ দিনে বহরমপুর কেন্দ্রের হাইভোল্টেজ প্রচারে সকাল থেকেই হুড খোলা গাড়িতে বেরিয়ে পড়েন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী এবং বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা। লালদিঘির ধারে মুখোমুখি দেখা হল দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের। পুরনো বন্ধুকে রাজনীতির ময়দানে দেখলেন অধীরবাবু। নির্মলবাবু ফুল ছিটিয়ে দিলেন তাঁর প্রতিযোগী প্রার্থীর দিকে। তারপর করজোড়ে নির্মল অভিবাদন জানান তাঁকে। অধীরও পাল্টা করজোড়ে অভিবাদন গ্রহণ করেন। ভোট প্রচারে বেরিয়ে একে অপরকে দেখে এই সৌজন্য বিনিময়ের ঘটনা শেষবেলার প্রচারে বাড়তি মাত্রা যোগ করল। শহরজুড়ে এই নিয়েই চর্চা চলল দিনভর। 
 এদিন সকালে বহরমপুর জেলা কংগ্রেস পার্টি অফিস থেকে হুড খোলা জিপে অধীরবাবু দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার শুরু করেন। এদিন শহরের বিশাল বাইক র‍্যালি করেন তিনি। অপরদিকে বিজেপির চিকিৎসক প্রার্থী নির্মল একটি লাল গাড়ির সান রুফ খুলে সেখানে দাঁড়িয়ে প্রচার করছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার। এদিন অধীরের কর্মী সমর্থক এবং তাঁর গাড়ির দিকে শাখারভও ফুল ছুড়ে দেন। 
বিজেপি সভাপতি বরাবর অধীর চৌধুরীকে তীব্র আক্রমণ করে সমালোচনা করলেও এদিন সৌজন্য দেখাতে তিনি ভোলেননি। দুই দলের কর্মী সমর্থকরা স্লোগান তুলতে তুলতে একই রাস্তার দুই পাশ দিয়ে দুই দিকে চলে যায়। তবে এই দুই প্রার্থীর দু’জনের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর উচ্ছ্বাস দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। শাসকদলের তরফে ফের সেটিং তত্ত্বকে সামনে আনা হচ্ছে। 
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, রাজনীতিতে সৌজন্যে খুবই ভালো কথা। তবে মাঝে মধ্যে অতি সৌজন্য হয়ে গেলে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যে অতি সৌজন্যের উদাহরণ হল বহরমপুরে বিজেপি বিধায়ক। আর কংগ্রেসের সেই সাংসদের সঙ্গে বিজেপি নামক রাজনৈতিক দলের সখ্য বরাবরই একটু বেশি। সেজন্য পার্লামেন্টের বাইরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে হাসিমুখে এই সাংসদকে দেখা যায়। যোগী আদিত্যনাথের বাড়িতে নাস্তা করতেও দেখা যায়। কখনও কখনও নৈশ ভোজের টেবিলে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদকে খুব ভালোভাবে সৌজন্য বিনিময় করতে দেখি। আসলে এই সৌজন্য যে কতদূর, সেটা আমরা মাঝে মধ্যে বুঝতে পারি না।
 বহরমপুরের মানুষ আশা করি, এবারের ভোটে এর যোগ্য জবাব দেবেন।  নির্মল বলেন, অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আমরা যতটা পেরেছি সৌজন্য বিনিময় করেছি। আমি ওঁর দিকে ফুল ছুঁড়ে দিয়েছি। এরকমই হওয়া উচিত রাজনীতিতে। একে অপরের সঙ্গে এমনই সৌজন্য এমনই থাকা উচিত। কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, বহরমপুরের মানুষ এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি পছন্দ করেন। রাজনৈতিকভাবে বিজেপির সঙ্গে আমাদের মতাদর্শ আলাদা। এদিন আমরা প্রচারে বিপুল মানুষের উচ্ছ্বাস দেখতে পেয়েছি। 

12th     May,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ