বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

জোট প্রার্থীকে ভোট কাটুয়া বলে কটাক্ষ তৃণমূলের, পাল্টা সেলিমের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: আসানসোল কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে মরিয়া বাম-কংগ্রেস জোট। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও জোটের তরফে বলা হচ্ছে, এসব অভিযোগের কোনও মানে নেই। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেসের লড়াই আপোসহীন। 
আসানসোল কেন্দ্রে সিপিএম এবার প্রার্থী করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জাহানারা খানকে। প্রচারেও বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘু এলাকায়। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম প্রচার করছেন সংখ্যালঘু মহল্লাতেই। প্রচারে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সখ্য প্রমাণেও ব্যস্ত বাম-কংগ্রেস নেতারা। তৃণমূলের অভিযোগ, জয়ের লক্ষ্যে লড়াইয়ের চেয়ে সংখ্যালঘু ভোট টানার লড়াইয়ে নেমেছে জোট। তাতে প্রকারান্তরে সুবিধা পাবে বিজেপি। কারণ, গেরুয়া শিবির ভালো করেই জানে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট তারা পাবে না। তাই বি টিম হিসেবে বামেদের  ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার প্রতি সিপিএমের ঋণী। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে তিনি লক্ষাধিক ভোট কেটে নেওয়াতেই জয়ের রাস্তা মসৃণ হয়েছিল সিপিএমের।  বিজেপি এখন চাইছে সেই ঋণশোধ করুক সিপিএম। 
তবে, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আমাদের ভোট কাটুয়া বলা হচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছিলাম। সেই ট্রেন থেকে আচমকা নেমে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে ভাইপোকে বাঁচানোর জন্য বিজেপিকে ক্ষমতায় রাখতে চায় তৃণমূলই।’ প্রায় একই সুরে কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক প্রসেনজিৎ পুইতণ্ডি বলেন, ‘কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায় নয়। সব সম্প্রদায়ের মানুষই তৃণমূল ও বিজেপির প্রতি বীতশ্রদ্ধ। তাঁরা এবার জোট প্রার্থীর দিকেই ঝুঁকছেন।’ 
আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হকের অবশ্য যুক্তি, ‘আসানসোল লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে সিপিএম কোনওদিন সংখ্যালঘু প্রার্থী দেয়নি। তারা এবার মহিলা সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়ে সংখ্যালঘু এলাকায় প্রচার করে তৃণমূলের ভোট কাটতে চাইছে। ভোটকাটুয়া হয়ে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়াই বি টিম সিপিএমের লক্ষ্য। সংখ্যালঘু মানুষ আর বোকা নয়। তারা জানে কাদের জন্য তারা নিরাপদ।’ 
শুক্রবার আসানসোলে প্রচার করেন সেলিম। সংখ্যালঘু এলাকা বলে পরিচিত বাল বোধন স্কুলের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। সেটি এনআর রোড হয়ে ইকবাল সেতু পার করে জাহাঙ্গীর মহল্লা, মকুমহল্লা হয়ে আসানসোল স্টেশনে শেষ হয়। পদযাত্রায় প্রার্থী না থাকলেও সিপিএম জেলা নেতৃত্ব ছিল। জোট সঙ্গী কংগ্রেস নেতারাও হাজির ছিলেন পদযাত্রায়। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, জিটি রোড, গড়াই রোড ছেড়ে মুসলিম মহল্লা দিয়ে কেন প্রচার করলেন সিপিএমের   এই হেভিওয়েট নেতা। আসলে জোট এবার সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ককেই পাখির চোখ করেছে। 
তৃণমূলের অভিযোগ, বাম-কংগ্রেস জোট জেতার লক্ষ্যে লড়াই করলে সর্বস্তরে প্রচার করত। তা না করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই তাদের এই পরিকল্পনা। এর মধ্যেই জল্পনা উস্কে দিয়েছে প্রার্থী আলুওয়ালিয়ার  প্রচার কৌশল। তিনি প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে বহিরাগত বললেও সিপিএমএম প্রার্থী জাহানারা খানকে ভূমিকন্যা আখ্যা দিয়েছিলেন। এখন দেখার এই ভূমিপুত্র ও ভূমিকন্যা সমীকরণ কতটা বেগ দিতে পারে তৃণমূলকে, সেটাই দেখার।  নিজস্ব চিত্র

11th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ