বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

তারাপীঠ মন্দিরে সূচনা দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ  সরল নারায়ণ, হনুমান ও বামদেবের বিগ্রহ

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: তারাপীঠ মন্দিরে এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হতে চলেছে। তার আগে শুক্রবার অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে নতুন মন্দিরে সরানো হল নারায়ণ, হনুমান ও বামদেবের বিগ্রহ। অন্যদিকে এবার দেবী তারার প্রথম সাধক বশিষ্ঠদেবের মন্দির নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে টিআরডিএ। তারাপীঠ মন্দির চত্বরেই গড়ে তোলা হবে সেটি।
কয়েক বছর আগে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে এসে ঘিঞ্জি পরিবেশ চাক্ষুষ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই খোলামেলা পরিবেশ তৈরির জন্য প্রথম পর্যায়ে প্রায় দু’কোটি টাকা টিআরডিএকে বরাদ্দ করেন। ৩২৬০ স্কয়্যার ফুট জায়গা নিয়ে রয়েছে তারাপীঠ মন্দির চত্বর। যার মধ্যে ৩৫০ স্কয়্যার ফুট জায়গার মধ্যে মায়ের গর্ভগৃহ। সেই গর্ভগৃহকে অক্ষত রেখে প্রথম পর্যায়ে খনন কার্য চালিয়ে ৫০ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ডের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। পশ্চিমদিকে মাটির তলায় ইতিমধ্যে ৭০ ফুট বাই ২৫ ফুটের ভোগঘর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ। ভোগঘরের পাশেই গড়ে উঠেছে ডাইনিং রুম। যেখানে প্রায় এক হাজার ভক্ত একসঙ্গে বসে ভোগ খেতে পারবেন। উপরের অংশটিকে চাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা প্রায় ৫০ ফুট বাই ২৫ ফুট। সেই চাতালের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। এবার বাকি অংশের আন্ডারগ্রাউন্ডের জন্য খননকার্য শুরু হবে।
টিআরডিএ সূত্রে জানানো হয়েছে, পূর্বদিকে খননকার্য চালিয়ে ২৫০০ স্কয়্যারফুট আন্ডারগ্রাউন্ডের কাজ করা হবে। মন্দির চত্বরে থাকা পুজো দেওয়ার লাইনের জন্য ভেঙে ফেলা হবে ফুটব্রিজ। জীবিতকুণ্ড থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে লাইন ধরে ভক্তরা গর্ভগৃহ লাগোয়া বিরামমঞ্চের কাছে উঠবেন। এতে মন্দিরের চাতাল বড় হবে। তেমনই মন্দিরের খোলামেলা পরিবেশ ফিরে আসবে। জীবিতকুণ্ড সহ মন্দিরের বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে চারপাশে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। জীবিতকুণ্ড পাড়ে ভক্তদের বসায় জায়গা সহ সৌন্দর্যায়ন, অফিস বিল্ডিং, ভিআইপি এন্ট্রি গেট সহ নানা কাজ হতে চলেছে।
এদিকে ওই ২৫০০ স্কয়্যারফুটের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি ছোট প্রাচীন মন্দির। যেগুলি ভেঙে ফেলা হবে। ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরের এক পাশে নারায়ণ, হনুমান ও বামদেবের নতুন মন্দির নির্মাণ হয়েছে। এদিন অক্ষয় তৃতীয়ার তিথিতে সেই বিগ্রহগুলি নতুন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে টিআরডিএ মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধি করতে যে উদ্য্যোগ নিয়েছে, তাকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। বিগ্রহ স্থানান্তরের আগে অভিষেক করানো হয়। পরে নতুন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নতুন তিনটি মন্দির ছাড়াও গোটা মন্দির চত্বর আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। 
টিআরডিএর ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। শুধুমাত্র শিবমন্দির পুরনো জায়গায় থাকবে। বাকি ছোট মন্দিরগুলিকে ওই চত্বরের এক পাশে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। তার পাশেই ষষ্ঠী ও মায়ের সাধক বশিষ্ঠদেবের মন্দির নির্মাণ করা হবে। যদিও মহাশ্মশান চত্বরে বশিষ্ঠদেবের একটি মন্দির রয়েছে। তিনি বলেন, পুরো কাজ শেষ হলে তারাপীঠ মন্দিরের চেহারা পাল্টে যাবে। ভক্তরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। ভক্ত সমাগম কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। 
এদিকে অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষ্যে এদিন পুণ্যার্থীদের ভিড় ছিল। অনেকে ব্যবসার নতুন খাতা দেবীর চরণে স্পর্শ করিয়ে পুজো দেন। কেউ দেবীর কাছে পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।

11th     May,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ