বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

মুরারইয়ে এবার লক্ষ লিডের লক্ষ্যে শতাব্দী

বলরাম দত্তবণিক, রামপুরহাট: মুরারইয়ে এক লক্ষ ভোটের লিড চাই। সেই লক্ষ্যে লড়ছে তৃণমূল। ধাক্কা দিতে মরিয়া বিরোধীরাও। লিড নিশ্চত করতে মঙ্গলবার সকাল থেকে মুরারই ১ ব্লকে প্রচারে ঝড় তুললেন তিনবারের জয়ী সাংসদ শতাব্দী রায়। একের পর এক গ্রামে ছোট ছোট সভা করে রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের পাশাপাশি সাংসদ তহবিল থেকে এই এলাকার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন। প্রতিটি সভাতেই উপচে পড়ল মহিলাদের ভিড়। শুধু তাই নয়, যাত্রাপথে প্রার্থীকে সংবর্ধনা দিলেন পাথর খাদানের শ্রমিকরা এবং গ্রামের মোড়ে জড়ো হয়ে থাকা মহিলারা। যা দেখে আপ্লুত শতাব্দী। 
২০১৯ সালে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ৮৯ হাজার ৭১১ ভোটে জয়ী হন শতাব্দী। যদিও সাতটি বিধানসভার মধ্যে চারটিতেই পিছিয়ে পড়েন। তাঁর হ্যাটট্রিকের পথ মসৃণ করে মুরারই, নলহাটি ও হাসন বিধানসভা। যার মধ্যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারই বিধানসভা থেকে প্রায় ৭০ হাজার ভোটের লিড পান শতাব্দী। বিজেপি এই বিধানসভায় পায় ৪৯ হাজার ভোট। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই মুরারইয়ে ৯৮ হাজার ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। যদিও এই বিধানসভা কেন্দ্রেও লোকসভার ফলাফল ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। 
এবার সেই মুরারইয়ে শতাব্দীকে ধাক্কা দিতে মরিয়া বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট। জোট প্রার্থী যেমন সংখ্যালঘু ভোট কাটতে উদগ্রীব, তেমনি হিন্দু ভোটে থাবা বসাতে উঠেপড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির। এদিকে বিরোধীদের এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবির। লিড ধরে রাখতে এদিন পাথর বলয় মুরারই ১ ব্লকের একের পর এক গ্রামে চুটিয়ে প্রচার সারেন শতাব্দী। মূলত গ্রাম ভিত্তিক ছোট ছোট সভার মাধ্যমে প্রচারের কৌশল নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এদিন সেই ছোট সভাগুলিই জনসভার আকার ধারণ করে। 
প্রায় প্রতিটি সভাতেই শতাব্দী রায় বলেন, যেখানে হিন্দুরা রয়েছেন, সেখানে বিজেপি গিয়ে বলছে, হিন্দুদের বাঁচাতে হবে, আমাদের ভোট দাও। যেখানে মুসলিমরা আছেন সেখানে কংগ্রস এসে বলছে, আমাদের ধর্মের লোক প্রার্থী হয়েছে, তাঁকে ভোট দাও। ভোটারদের সচেতন করতে তিনি বলেন, ধর্মের সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। আপনি যদি মন্দিরের জন্য পুরোহিত বা মসজিদের জন্য ইমাম নির্বাচন করেন তাহলে ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। কিন্তু ভোটে আপনার রাস্তা হচ্ছে কিনা, আপনার মেয়ে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী পাচ্ছেন কিনা তার সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই। আপনার সন্তানরা যে জামা, জুতো পরে ব্যাগ নিয়ে সাইকেল চালিয়ে স্কুল যাচ্ছে, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন। তার সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই। কৃষকবন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন তার সঙ্গেও ধর্মের যোগ নেই। তাহলে কেউ এসে যদি ধর্মের নামে ভোট চায়, তাহলে কিন্তু আপনাদের বোকা বানাচ্ছে। আর ওরা বলছে সিএএ, এএনআরসি হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, হতে দেবেন না। হলে মুসলিমদের, ওদের যেটা প্ল্যান আপনাদের দাদু, দিদা এখানে জন্মেছিল কিনা তার প্রমাণ দিতে হবে। না পারলে এদেশে থাকতে পারবেন না। এসব জানার পর আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাকে ভোট দেবেন। কে কী বলল, সেদিকে নজর না দিয়ে আপনি কী বুঝছেন, কী পাচ্ছেন সেটা দেখে ভোট দেবেন।  
যদিও বিজেপি নেতা শান্তনু মণ্ডল বলেন, শুধু হিন্দু নয়, ওই এলাকার বহু সংখ্যালঘু মানুষের ভোট পাব। ওরা গতবারের লিড ধরে রাখতে পারবে না। অন্যদিকে সি‌঩পিএম নেতা সঞ্জীব বর্মণ বলেন, মোদির সাম্প্রদায়িকতা ও দিদির প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতা এবার ফ্যাক্টর হবে না। মানুষ এবার ‘রোটি, কাপড়া ঔর মকান’-এর উপর ভোট দেবেন। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ বলেন, বিরোধীরা যতই চেষ্টা করুক, এই বিধানসভা থেকে এক লক্ষ ভোটের লিড দেব। ওদের দিশেহারা অবস্থা হবে।  

8th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ