বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

আমেরিকার হিউস্টন শহরে গড়ে উঠছে ‘তারাপীঠ’, উদ্যোগী প্রবাসী বাঙালিরা

বলরাম দত্তবণিক, রামপুরহাট: দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে তারাপীঠ অন্যতম তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এবার হুবহু তারাপীঠের আদলে মন্দির নির্মাণ হতে চলেছে উত্তর আমেরিকায়। সেখানকার প্রবাসী বাঙালিরা এই মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। রবিবার সেখানকার দুই সদস্য তারাপীঠ মন্দির কমিটির সঙ্গে দেখা করে সহযোগিতা চাইলেন। আমেরিকার হাউস্টনে সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হতে চলেছে সেই মন্দির। যার উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হবে তারাপীঠের সেবাইতদের।
তারাপীঠ মন্দির ও মা তারার মাহাত্ম্য ভক্তদের মুখে মুখে ফেরে। সারা বছরই ভক্তের সমাগম হয় বামাখ্যাপার এই সাধনস্থলে। বিশেষ তিথির মধ্যে কৌশিকী অমাবস্যার সময় ভক্তের সমাগম পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছয়। এছাড়া প্রায়ই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় স্তরের মন্ত্রী ও নেতারা দেবী তারার কাছে মনস্কামনা জানাতে আসেন। কিন্তু যে সমস্ত ভারতীয় বিদেশে থাকেন, তাঁদের ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় আসতে পারেন না। এবার তাঁদের জন্য সুখবর। 
অবিকল তারাপীঠ মন্দিরের আদলে মায়ের মন্দির হবে উত্তর আমেরিকার হাউস্টনে। সেখানে প্রচুর ভারতীয় বাঙালি বসবাস করেন। তাঁরা হাউস্টন কালী ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে এই মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। আগামী তিনমাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তার আগে রবিবার সেখানকার দুই সদস্য গৌতম মল্লিক ও ভোলা সামুই এসে মন্দির কমিটির সভাপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। 
আদতে কলকাতার বাসিন্দা প্রবাসী বাঙালি গৌতমবাবু বলেন, ইতিমধ্যে আমেরিকান সরকার সেই মন্দির নির্মাণের জন্য দেড় একর জায়গা দিয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে তারাপীঠের মতোই হুবহু মন্দির নির্মাণ হবে। এদিন তারাপীঠে এসে মন্দির কমিটির কাছে সেব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানিয়েছি। দেবীর আচার, নিয়মকানুন ও ধর্মীয় বিষয়ে তাঁরা যাতে আমাদের পরামর্শ দেন। এখানকার মন্দির কমিটি তাতে সহমত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ করতে প্রায় দু’বছর লাগবে। এরই মধ্যে জুন-জুলাই মাসে আরও একবার আমরা আসব। ওই দুই প্রতিনিধি বলেন, শুধু অবিকল মন্দির নয়, হুবহু পাথরের মূর্তি, সমস্ত আচার, নিয়মও এক হবে। কৌশিকী অমাবস্যা, মায়ের আবির্ভাব তিথি সবই পালন করা হবে। ওই সমস্ত তিথিতে তারাপীঠের সেবাইতদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে, ওখানে দেবীর পুজোর অন্যতম উপাদান প্যাড়া পাওয়া যায় না। সেটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর তারাপীঠ থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। ভারত থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের জন্য গেস্ট হাউস ও দাতব্য চিকিৎসালয় করা হবে। তবে, সেখানকার শ্রমিক নাকি ভারত থেকে শ্রমিক নিয়ে গিয়ে মন্দিরটি করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। গৌতমবাবু বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা জুন মাসে ভারতে আসছেন। তখন এবিষয়ে আলোচনা হবে। তবে মূর্তি করা হবে কলকাতাতেই।
এব্যাপারে তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, আমেরিকায় বহু বাঙালি থাকেন, যাঁরা বিভিন্ন সময় তারাপীঠে এসে দেবীকে পুজো দেন। এবার তাঁরা হাতের কাছেই মা তারাকে পাবেন। মায়ের প্রসার যত বাড়বে ততই আমাদের ভালো লাগবে। তারাপীঠ আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। এটা তারই উদাহারণ। আমেরিকার মতো জায়গায় দেবী তারার মন্দির। ভাবতেই ভালো লাগছে। ধর্মীয় বিষয়ে তাঁদের পূর্ণ সহযোগিতা আমরা করব। 

6th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ