বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

দাবদাহে বাড়ছে জলের তাপমাত্রা, মাছের মৃত্যুতে জোগানে ঘাটতি

সংবাদদাতা, মানকর: তীব্র দাবদাহ। বৃষ্টির দেখা নেই। গরমে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাপমাত্রা বাড়ছে পুকুর, খাল, বিলের জলের। অতিরিক্ত গরম জলে মাছের সমস্যা হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাছের মৃত্যুও ঘটছে। মাছ চাষিদের আশঙ্কা বৃষ্টি না হলে মাছের ক্ষতির সম্ভাবনা আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই বাজারে মাছের জোগানে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
কাঁকসা, আউশগ্রাম, গলসির বহু এলাকায় মাছের চাষ হয়। গ্রামে অনেকেই পুকুরে মাছের চাষ করেন। মাছ চাষিদের একাংশের বক্তব্য, একদিকে প্রবল গরম। অন্যদিকে বৃষ্টি নেই। ফলে পুকুরগুলি শুকিয়ে আসছে। অনেক এলাকায় পুকুরের জল ব্যবহার করে ধান বা আনাজ চাষ হয়েছে। পুকুর থেকে সেচের জন্য জল তুলে নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ। চড়া রোদে জল গরম হয়ে মাছ মরতে শুরু করেছে। আউশগ্রামের অমরারগড়ের মাছ চাষি বাসুদেব পাল বলেন, সাধারণত রুই, কাতলা, মৃগেল, শোল, বোয়াল জাতীয় মাছ চাষের জন্য পুকুরের জলের গভীরতা কমপক্ষে তিন ফুট থাকা প্রয়োজন। এখন রোদে জলের তাপমাত্রা দ্রুত ৪০-৪১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। অধিক তাপমাত্রার জেরে জলে অক্সিজেনের জোগান কমে যাচ্ছে। অনেক জলাশয়ের জলও ঘোলা হয়ে যাচ্ছে। কাঁকসার চাষিদের একাংশ জানান, প্রচণ্ড গরমে মাছ মারা যাচ্ছে। স্যালো চালিয়ে পুকুরে জল বাড়াচ্ছেন। সময়ের আগে অনেকে মাছ তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে চাষিদের আক্ষেপ, মাছ বিক্রি করতে গিয়ে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। 
পানাগড় বাজারের মাছের আড়তদার রহমত মোল্লা বলেন, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় গরমে মানুষ মাছ কম খাচ্ছেন। তাই চাহিদা কিছুটা কম। পুকুরে জল কমে আসছে দেখে অনেক সময় চাষিরা মাছ নিয়ে আসছেন। তাই কখনও কখনও আমদানি বেশি হয়ে যাচ্ছে। চাষিরা দাম পাচ্ছেন না।   
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমের হাত থেকে মাছ বাঁচাতে চাষিদের পুকুরের ধার বরাবর একাধিক জায়গায় তাল পাতা বা নারকেল পাতা কেটে ফেলা দরকার। ওই জায়গা পুকুরের অন্য অংশের তুলনায় ঠান্ডা হবে। ফলে মাছেরা ওখানে এসে উত্তাপের হাত থেকে রেহাই পাবে। পাশাপাশি জলে অক্সিজেনের জোগান বাড়াতে বিঘা প্রতি পুকুরে ১৫-২০ কিলোগ্রাম চুন জলে মিশিয়ে দিতে হবে। কিছুটা হলেও মাছেরা স্বস্তি পাবে।     
পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য উন্নয়ন দপ্তরের যমুনাদিঘি মৎস্য বীজ খামারের আধিকারিক অঙ্কুর মজুমদার বলেন, পুকুরে পর্যাপ্ত জল যাতে থাকে, তা দেখতে হবে। পর্যাপ্ত জল থাকলে পুকুরের নীচে গরম কম হবে। মাছেদের যেন অক্সিজেন ঘাটতি না হয়, সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।

6th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ