বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

ঝাড়গ্রাম দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১১০ হাতি, আতঙ্কে ভুগছেন কৃষকরা

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: বাড়তে বাড়তে ঝাড়গ্রাম ডিভিশন এলাকায় হাতির সংখ্যা হল ১১০। এর মধ্যে মানিকপাড়া ও লোধাশুলি রেঞ্জের রামরামা ও ন্যাকড়াবিঁধার জঙ্গলে ৯১টি হাতির দু’টি বড় দল রয়েছে। রামরামা জঙ্গলের দলটিতে ৫৫ ও ন্যাকড়াবিঁধার জঙ্গলের দলটিতে ৩৬টি হাতি রয়েছে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। ফলে এলাকার ধান ও কাজু চাষিদের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে। 
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিনদিন ধরে রামরামা জঙ্গলের হাতির এই দলটি, আখড়াশোল, ডুমুরিয়া, সাতপাটি ও বৈদা এই সমস্ত গ্রামের জমিতে তাণ্ডব চালিয়ে ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। সন্ধ্যা ঘনালেই দলটি ধান জমিতে প্রবেশ করছে। রাতভর তাণ্ডব চালাবার পর ফের জঙ্গলে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। এই দলে কয়েকটি শিশু হাতে থাকায় এই তীব্র দাবদাহে বড় হাতিগুলি দূরবর্তী এলাকায় যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে না। 
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে ৩৬টি হাতির একটি দল ন্যাকড়াবিঁধার জঙ্গলে প্রবেশ করেছে। দলটি শুক্রবার দুপুরে পাইনাভাঙ্গা জঙ্গলের দিকে রওনা দিয়েছে বলে বনবিভাগ সূত্র জানা গিয়েছে। এই সময় এই এলাকার বড় বড় কাজু বাগানে কাজু পাকার সময় চলছে।  বড় এই দল হাতির দল এলাকায় ঢুকে পড়ায় কাজু চাষিরা আতঙ্কে  রয়েছেন। 
প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির তাণ্ডব যেভাবে ক্রমশ বাড়ছে তা নিয়ে গ্রামীণ এলাকার মানুষের বসবাস নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাতির এই দলগুলিকে বিভিন্ন ডিভিশন এলাকা থেকে দু’-তিনদিন ছাড়া ছাড়া তাড়িয়ে অন্য জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্য এলাকা থেকে ফের তাড়িয়ে ঝাড়গ্রামে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই এত পরিমাণ হাতির খাবার বলতে চাষিদের নানা ধরনের শস্য। জঙ্গল এলাকার বাসিন্দারা পাতাতোলা, শুকনো কাঠ ও ছাতু সংগ্রহ করে অনেকেই জীবিকা অর্জন করতেন। বিগত বছর দু’-তিন ধরে তা বন্ধের মুখে। হাতির তাণ্ডবের জেরে বিভিন্ন এলাকায় ধান চাষ কমে গিয়েছে। এই নিয়ে বৈদা গ্রামের বাসিন্দা টুকেন সিং বলেন, রামরামা জঙ্গলে দু’-তিনদিন ধরে এই দলটি রয়েছে। রোজ সন্ধ্যা ঘনালেই আমাদের গ্রাম ও পাশের এলাকার জমিতে তাণ্ডব চালাচ্ছে। এই নিয়ে নেকড়াবিঁধা এলাকার বাসিন্দা চাষি তমাল মাহাত বলেন, হাতির সমস্যা সমাধানের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। বছরের পর বছর হাতির উপদ্রব থাকায় নিচুতলায় মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিভাগীয় প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। কেন না, ঝাড়গ্রাম এলাকায় হাতির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জঙ্গলঘেঁষা গ্রামের বাসিন্দারা এর পর গ্রামে থাকতেই পারবে না। 
এই নিয়ে ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, এলাকায় হাতির সমস্যার জন্য কয়েকদিন আগে এই রাজ্যে চারটি ডিভিসনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। হাতির এই বড় দলগুলিকে আমরা ঝাড়খণ্ডের দলমা পাহাড়ের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করব। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রামরামার জঙ্গলের হাতির দলটিকে লালগড়ের জঙ্গলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রখর গ্রীষ্মে তাপদাহ থাকায় এখনি হাতিগুলিকে ড্রাইভ করা হচ্ছে না।

5th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ