বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

তাপপ্রবাহ সত্ত্বেও অপেক্ষমান জনতাকে ‘সেলাম’ ইউসুফের

সংবাদদাতা, কান্দি: সূর্য একেবারে মাথার উপরে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। তাপপ্রবাহের মধ্যেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ। তাঁর প্রতি আমজনতার এই আবেগে আপ্লুত বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। তাঁকে একবার দেখার জন্য মানুষের এই উন্মাদনাকে কুর্নিশ জানিয়ে আমজনতার উদ্দেশে সেলাম জানালেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার। সোমবার সালার থানার খাড়েরা গ্রামে ভোটপ্রচারে মানুষের ঢল নামল। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী।
এদিন সকাল ১০টা থেকে প্রচার করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে আসেন ইউসুফ। তিনি খাড়েরা বাসস্টপেজ এলাকা থেকে এদিনের প্রচার শুরু করেন। বেলা ১১টা নাগাদ ইউসুফ পৌঁছন। তখন তাঁকে দেখার জন্য প্রচুর মানুষ অপেক্ষা করছিল। তাপমাত্রা তখন ৪২ পেরিয়ে ৪৩ ডিগ্রির পথে পা রেখেছে। কড়া রোদের মধ্যেও মাথায় কাপড় ঢাকা দিয়ে রাস্তার দু’পাশে অপেক্ষা করছে আট থেকে আশি। শুধু একবার ক্রিকেটার প্রার্থীকে দেখার জন্য উপচে পড়া ভিড়। ইউসুফ সেখানে এসে পৌঁছতেই তাঁকে দেখার জন্য বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সকলের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঠেলাঠেলির জন্য অনেকে রাস্তায় পড়ে যান। ইউসুফ সেখানে পৌঁছেই সকলের উদ্দেশে সেলাম দেন। ইউসুফ বলেন, আপনারা এত রোদের মধ্যেও আমার জন্য আপনারা অপেক্ষা করছেন। আপনাদের সেলাম জানাই। আপনারা আমার পাশে থাকুন। আমি আপনাদের জন্য সবকিছু করব।
এদিনের প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও দলের ভরতপুর-২ ব্লক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথমে গ্রামের কিছুটা এলাকা তাঁরা হেটে প্রচার করেন। এরপর ট্যাবলোতে চড়ে বাকি এলাকায় প্রচার সারেন ইউসুফ। খাড়েরা গ্রামের পর আলেপুর হয়ে স্থানীয় সালু পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করেন। পরে শিমুলিয়া পঞ্চায়েতের শিরপাড়া, পুনুশি, পিলখুণ্ডি গ্রাম হয়ে সালার পৌঁছন।প্রচারের সময় তৃণমূল প্রার্থীকে বাসিন্দাদের আবদার মেটাতে বারবার ট্যাবলো থেকে নামতে হয়েছে। কখনও অটোগ্রাফ দেওয়ার জন্য আবার কখনও ফুলের মালা নেওয়ার জন্য গাড়ি থেকে নেমে যান। ইউসুফকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, আপনাদের পরিবারের সব মানুষ ভালো আছেন? গরমে সাবধানে থাকবেন। ছোটদের রোদে বেরতে দেবেন না। নিকট আত্মীয়ের মতো ইউসুফের এমন উপদেশ শুনে অনেকে আশ্চর্য হয়ে পড়েন। 
পুনুশি গ্রামের তানিজা খাতুন বলেন, উনি বাংলা না জানলেও আমাদের প্রতি ওঁর যে চিন্তা রয়েছে, সেটা বুঝতে পেরেছি। রোদে ওঁর চোখমুখ কালো হয়ে গেলেও উনি আমাদের সাবধানে থাকতে বলেছেন। এটা ওঁর মহত্ব ছাড়া আর কী হতে পারে!

30th     April,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ