বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

দুর্ঘটনা ঘটলে ইসিএল-কোল ইন্ডিয়াকে ছাড়ব না: মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: শনিবার দুপুর পৌঁনে ৩টে। কাঠফাটা রোদ। মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠছে তাপমাত্রা ৪৩ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র দাবদাহের ম঩ধ্যেই হেলিকপ্টারের ধুলো উড়িয়ে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোদ-ধুলো উপেক্ষা করে তাঁকে কাছ থেকে দেখতে শয়ে শয়ে মহিলা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। পুলিসকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন জনস্রোত আটকাতে। তীব্র গরমেও মমতাকে ঘিরে সেই চেনা আবেগই বিরোধী শিবিরে হৃদকম্প ধরাতে পারে। তীব্র গরমে মাথার উপর পাতলা ছাউনি সঙ্গী করেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সুরে যেভাবে সুর মিলিয়ে জনতার গর্জন উঠল তা দেখে নানা ইস্যুতেও চ্যালেঞ্জ ছুড়তে লাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। 
এদিন মমতা বলেন, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ, অণ্ডাল, আসানসোলের ৩০ হাজার পরিবার ধসপ্রবণ এলাকায় রয়েছে। কেন্দ্র পুনর্বাসন প্রকল্প বন্ধ করে রেখেছে। টাকা দিচ্ছে না। কোনও একটা দুর্ঘটনা হয়ে গেলে আমি কিন্তু ইসিএল, কোল ইন্ডিয়াকে ছাড়ব না। তাও আমরা বহু বাড়ি বানিয়ে দিয়েছি। যাঁরা চান থাকতে পারেন।। এরপরই তিনি বলেন, কুলটি এলেই আমার মনে পড়ে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানার কথা। আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সিএলডব্লুর বরাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। সেই কারখানাকে ওরা টেন্ডার করে বিক্রি করে দিচ্ছে। ইসিএলের ১১টা কোলিয়ারিকে ওরা বিক্রি করে দিল। ওরা এবার ক্ষমতায় এলে দেশটাকে বিক্রি করে দেবে। আপনার রুটি, কাপড়া, মকানকেও বিক্রি করে দেবে। বিজেপি যখন সব বিক্রি করে দেবে তাহলে আমরা ওদের ভোটটা দেব কেন? 
এরপর তিনি বলেন, এখানে সেল গ্যাস পাওয়া গিয়েছে। ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। প্রচুর চাকরি হবে। দেউচা পাচামিতে ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। এক লক্ষ মানুষের চাকরি হবে। আমরা অণ্ডাল বিমান বন্দরের উন্নয়ন করছি। তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। পৃথক জেলা করে উন্নয়ন করেছি। আর বিজেপি কী করেছে? 
এদিনের দু’টি সভাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে আবেগের বাঁধ ভাঙে জনতার। মমতার কাছে যেতে চেয়ে কুলটির সভা শুরুর আগেই দলের নেতাদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে। ক্ষোভ প্রশমিত করেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থলে আসতেই সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোলের সভাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীর আসার সময় তাঁর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। এক ঘণ্টা বক্তব্য শেষে মুখ্যমন্ত্রী যখন হেলিপ্যাডে যাচ্ছেন তখনও একই আবেগ দেখা গিয়েছে। তাঁকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে খোশমেজাজে ছিলেন মমতাও। মঞ্চে নীচে থাকা ঢাকিদের ডেকে নিয়ে ঢাক বাজাতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী মলয় ঘটক, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে গল্প করতেও দেখা যায় তাঁকে। হেলিকপ্টারে ওঠার আগে হেলিপ্যাডের চারদিকে ঘুরে মানুষের অভিবাদন গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। 
এদিন আসানসোলে মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চেও ছিল সম্প্রীতির বার্তা। নেতাদের ভিড় কমিয়ে হিন্দু, শিখ, মুসলমান সব সম্প্রদায়ের মানুষের বসার জায়গা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে হাজির হয়েছিলেন ইমাম ইনদাদুল্লা রসিদি। যিনি আসানসোলে দাঙ্গার সময়ে নিজের ছেলেকে হারিয়েও দাঙ্গা থামাতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন।

28th     April,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ