বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

জিতলে পুরস্কার, হারলে তিরস্কার

নিজস্ব প্রতিনিধি, কালনা: জিতলে পুরস্কার, হারলে তিরস্কার। বৃহস্পতিবার কালনার বৈঠক থেকে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সরকার  বিভিন্ন প্রকল্প এনে মানুষের কাজ করেছে। তাহলে সব বুথে লিড হবে না কেন। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। কোনও দ্বন্দ্ব থাকা চলবে না। কোথাও নিজেদের মধ্যে  কোনও সমস্যা থাকলে  দু’-একদিনের মধ্যে মিটিয়ে নিতে হবে। জিতলে পুরস্কৃত হবেন। হারলে সরিয়ে দেওয়া হবে। পুরস্কৃত হবেন নাকি তিরস্কৃত হবেন, সেটা আপনারাই ঠিক করুন।  
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি ব্লকের নেতাদের তিনি সতর্ক করেছেন। রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়ার সঙ্গে  ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডলের লড়াই দীর্ঘদিনের। দু’জনকে আলাদা আলাদা দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। শম্পা ২ নম্বর ব্লকের কাজ করবেন।  ১নম্বর ব্লক দেখবেন বামদেব। বৈঠকে  কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে সতর্ক করা হয়েছে। নিয়মিত তাঁকে পুরসভায় আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আধ ঘণ্টা থেকে চলে গেলে চলবে না বলে জানানো হয়েছে। মেমারি পুরসভায় স্বপন ঘোষাল ও স্বপন বিষয়ীর মধ্যে লড়াই রয়েছে। তাঁদেরকে তা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরে একটি পার্টি অফিসের চাবি খোলার জন্য বলা হয়েছে। জামালপুরে নেতাদেরও সবাইকে একসঙ্গে চলার জন্য বলা হয়েছে। মেমারি-১ ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের মধ্যেও দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানোর জন্য বলা হয়েছে। কয়েকদিন আগে তাঁদের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। বিধায়কের সামনেই দু’পক্ষ ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। 
 তৃণমূল থেকে আরও জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে কালনা শহরে সংগঠন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সমস্ত ওয়ার্ডে লিড পাওয়ার জন্য সব নেতাদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে আগের থেকেও ভালো ফল হবে। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
 দলীয় সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, প্রতি ব্লকে নির্বাচন কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে ২০-২৫ জন সদস্য থাকতে পারেন। তার বেশি হলেও অসুবিধা নেই। নেতাদের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পগুলির সাফল্য তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। রাজ্য সরকার টাকা মিটিয়েছে। সেই কথাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তুলে ধরতে হবে। 
দলীয় সূত্র আরও জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিরা হাজির ছিলেন। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, দলের নেতা স্বপন দেবনাথ সহ অন্যান্য জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  নিজস্ব চিত্র

19th     April,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ