বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

শতাব্দীর এক ফোনেই বসল ট্রান্সফর্মার, খুশি এলাকাবাসী

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: তীব্র দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। এরই মধ্যে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিকল। প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। তাঁকে কাছে পেয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার আবেদন জানান গ্রামবাসীরা। শতাব্দী বিদ্যুৎ দপ্তরে ফোন করার চার ঘণ্টার মধ্যে নতুন ট্রান্সফর্মার লাগানো হল। স্বস্তি পেয়ে গ্রামবাসীদের অনেকেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। তাঁরা বলেন, শতাব্দী আমাদের কাছের মানুষ, কাজের মানুষ।
বীরভূম জেলায় তাপমাত্রার পারদ চড়চড়িয়ে বাড়ছে। বাড়ছে ভোটের উত্তাপও। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে গ্রামে গিয়ে কেন আবার তাঁকে ভোট দেবেন সেকথা তুলে ধরছেন শতাব্দী। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা নাগাদ কলিঠা অঞ্চলের কুশিপুর গ্রামে সভা করতে আসেন। সভা শেষে গ্রামবাসীরা তাঁকে বলেন, চারদিন ধরে গ্রামের ট্রান্সফর্মার বিকল। গরমে টেকা যাচ্ছে না। রাতে ঘুমাতে পারছেন না। পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। শতাব্দীর কাছে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানান গ্রামের লোকজন। 
গরমে গ্রামবাসীদের নাজেহাল অবস্থার কথা শুনে শতাব্দী বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের নলহাটি অফিসের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার চার ঘণ্টার মধ্যে নতুন ট্রান্সফর্মার নিয়ে এসে গ্রামের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করেন। তবে ফোন করেই দায় সারেননি শতাব্দী। অন্য গ্রামের প্রচারের ফাঁকে ফের কুশিপুর এসে দেখে যান, নতুন ট্রান্সফর্মার লাগল কি না!
গ্রামবাসীরা বলেন, চারদিন আগে ট্রান্সফর্মার খারাপ হয়ে যায়। অফিসে গিয়ে পাত্তা পাইনি। এদিন শতাব্দী রায়কে কাছে পেয়ে সেকথা জানাই। দিদি ফোন করার চার ঘণ্টার মধ্যে গ্রামে নতুন ট্রান্সফর্মার লাগিয়ে দিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। দিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দিদি কাজের মানুষ। তাই উনি কাছের মানুষও। এদিন গ্রামবাসীদের আব্দারে ট্রান্সফর্মারের নীচে দাঁড়িয়ে সকলকে নিয়ে ছবি তোলেন প্রার্থী।
শতাব্দী বলেন, কুশিপুরে প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে শুনি, ট্রান্সফর্মার পুড়ে গিয়েছে। এই গরমে সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছিল সকলের। দপ্তরকে জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন ট্রান্সফর্মার লাগিয়ে দিয়েছে। 
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, ট্রান্সফর্মার পাল্টানো বা সারানোর জন্য যদি এমপিকে বলতে হয় তাহলে বুঝতে হবে সরকারের সমস্ত দপ্তর অকেজো। গ্রাম থেকে শহরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না, এটা সরকারের ব্যর্থতা।
এদিন কোগ্রামে একইভাবে সভা করে প্রচার করতে আসেন তিনি। গ্রামবাসীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। তারকা প্রার্থীর সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য মহিলাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তুলে ধরেন শতাব্দী। এলাকার এক মহিলা বলেন, আগে গ্রামের কী চেহারা ছিল, এখন কী হয়েছে সেটা আমরা নিজের চোখে দেখছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, বিনা পয়সায় বেশনের চাল, স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাচ্ছি। এরপরই গ্রামের মহিলারা বলেন, কে কী বলল আমরা জানি না, দিদি ছাড়া আমরা কাউকে চিনি না। আমরা দিদির সঙ্গে আছি। দর্শকাসন থেকে এক বৃদ্ধা শতাব্দীকে মা বলে ডেকে বলেন, ‘তোমাকে আশীর্বাদ করছি। তুমিই আবার জিতবে।’ শতাব্দী বলেন, এমপি হয়ে পালিয়ে যায়নি। কাজ করেছি বলেই মানুষের এত স্নেহ, ভালোবাসা, আশীর্বাদ পাচ্ছি।

19th     April,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ