বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

কেস্টর অভাব বোঝা দায়, সমর্থকে ঠাসা তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিস, টেক্কা সিপিএম ও বিজেপিকে

নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: তৃণমূল সরকারের আমলে অনুব্রত মণ্ডল জেলার যে পার্টি অফিসেই হাজির হতেন না কেন, সেখানেই ভিড় দেখা যেত ব্যাপকভাবে। ভোটের আগে হলে তো কোনও কথাই নেই। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে তৃণমূলের পার্টি অফিসের ভিড় কিছুটা কম, তবু এখনও তা টেক্কা দিচ্ছে অন্য দলগুলির পার্টি অফিসকে। লোকসভা ভোটের মুখে বীরভূমের তিন দলের তিন জেলা পার্টি অফিসের টুকরো চিত্রই ভোটের হাওয়া কোনদিকে, তা ইঙ্গিত দিয়ে দেবে। 
চিত্র ১- সকাল ১০টা। সিউড়িতে জাতীয় সড়কের ধারে বিজেপির পার্টি অফিস। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয় করে কয়েক মাস আগে এই পার্টি অফিসটি উদ্বোধন করা হয়েছে। একেবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। পার্টি অফিসের বাইরে তিন, চারটে বাইক ও চারচাকা গাড়ি দাঁড়িয়ে। ভেতরে কম্পিউটার খুলে একজন। আর চারিদিকে মাত্র হাতে গোনা তিন, চারজন ঘোরাফেরা করছেন। সন্ধ্যার দিকে অবশ্য অফিসের বাইরে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা কিংবা প্রার্থী দেবাশিস ধর এলে আরও ২০ থেকে ৩০ জন হাজির হন। তবে সবই দলের পদাধিকারীরা। ভোট কন্ট্রোলের পার্টি অফিস এই বাজারে কিছুটা শুনশান তো বটেই। ধ্রুববাবু বলেন, মাঠেঘাটে ভিড় খুঁজুন, তাহলেই হাওয়া যে বিজেপির দিকে, সেটা টের পাবেন।
চিত্র ২- সিপিএমের জেলা পার্টি অফিস। একেবারে যেন শান্ত কোনও পোড়ো বাড়ি। সকাল ১০টায় ধূপ, ধুনো দেওয়ার মতো দুই থেকে তিনজন হোল টাইমারের আনাগোনা। প্রচার না থাকলে পলিটব্যুরোর সদস্য রামচন্দ্র ডোম, জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ ভোটের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেন। জেলা পার্টি অফিসে কর্মীদের যাতায়াত যে একেবারেই কম, তা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেই টের পাওয়া যাবে। ভোটের উন্মাদনাও যে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসকে ছুঁতে পারেনি, তা দলের অনেক নেতাই মানবেন। 
চিত্র ৩- সিউড়িতে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিস। কেষ্ট পরবর্তী জমানায় জমজমাট ভাব কিছুটা ফিকে হয়েছে ঠিকই, কিন্তু কর্মীদের আনাগোনাতে ভাটা পড়েনি। সকালে হাজির হলেই দেখা যাবে খবরের কাগজ হাতে দলের একনিষ্ঠ কর্মী শান্ত চট্টোপাধ্যায় রাজ্য, রাজনীতির খবর পড়ছেন। সেখানেই কেউ কেউ বাড়ি না গিয়ে টোঙায় করে মুড়িও খেয়ে ফেলছেন। এরপর বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী এলে ভিড় ৩ গুণ হয়ে যায়। নানা সমস্যা নিয়ে মানুষজন হাজির হন। পারিবারিক থেকে ব্যক্তিগত একাধিক বিষয় নিয়ে মানুষের ভিড় লেগে থাকে পার্টি অফিসের সামনে। বিকালে দলীয় মিটিং থাকলে তো আর কথাই নেই। একের পর এক সারি সারি গাড়ি রাস্তা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকে। ‘দাদা’দের অনুগামীদেরও সংখ্যা বাড়তে থাকে। সাংবাদিকরাও সময়ে সময়ে হাজির হয়ে যান। ফলে গোটা এলাকাতেই একটা উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। এরপর কেউ দলের পতাকা নিয়ে বাড়ি ফেরেন, কেউ আবার ফেস্টুন। ভোটের চড়া বাজারের উত্তাপ কতখানি, তার প্রাথমিক ইঙ্গিত মিলবে এখান থেকেই। বিধায়ক বলেন, নানান ধরনের মানুষ, দলের কর্মীরা আসেন। আমরা ২৪ ঘণ্টা রাজনীতির সঙ্গে থাকা দল। আমাদের পার্টি অফিসে ভিড় হবে না তো কাদের হবে? 
নিজস্ব চিত্র

17th     April,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ