বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

চালু হয়নি ইএসআই হাসপাতালের
নয়া বিল্ডিং, বিড়ম্বনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসার বড় ভরসা আসানসোল ইএসআই হাসপাতাল। এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন অথচ কেন্দ্রীয় টালবাহানায় এখনও বাড়ল না হাসপাতালের বেড সংখ্যা। পাঁচ বছর পরেও হস্তান্তর করা হল না নতুন বিল্ডিং। এই পরিস্থিতেই ইএসআই হাসপাতালে মোদি সরকারের ন’বছরের সাফল্যের প্রচার কর্মসূচিতে এসে কার্যত পিঠটান দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল মরেশ্বর পাটিল। ২০২০ সালের নতুন হাসপাতাল বিল্ডিং চালু হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকারের ঠিক করে দেওয়া সংস্থা ২০২৩ সালেও কাজ শেষ করতে পারেনি। মোদির গৌরব গাঁথায় যা বড়ই বেমানান তাই অসম্পূর্ণ হাসপাতাল বিল্ডিংয়ের দিকে পা বাড়িয়েও ফিরে এলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী।
আসানসোল, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ, কুলটি, সালানপুর এলাকার শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের বড় ভরসা আসানসোল ইএসআই হাসপাতাল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের অধীনে প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার রয়েছেন যাঁদের এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার কথা। প্রতিদিনই গড়ে ৪০ থেকে ৫০টি করে নতুন শ্রমিক কার্ড তৈরি হচ্ছে অর্থাৎ আরও বেশি সংখ্যক শ্রমিকদের চিকিৎসা ব্যবস্থার দায়িত্ব এই ইএসআই হাসপাতালের কাঁধে উঠছে। ২০১৪ সালে টিম নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর আসানসোল লোকসভা আসনের এমপিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব দেন। ২০১৮ সালে ঠিক হয় আরও ৫০ বেডের একটি পৃথক হাসপাতাল বিল্ডিং গড়া হবে। সেখানে থাকবে মডিউলার ওটি থেকে তিনটি লিফট, ডায়ালিসিস থেকে আইসিই সহ সব ধরনের সুবিধা। মাঝে মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের নেতারা নিজেদের এই উদ্যোগকে প্রচারের আলোয় আনতে পরিদর্শনে আসতেন। ২০২০ সালেই ইএসআই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে ওঠা হাসপাতাল হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালেও নতুন হাসপাতাল বিল্ডিং বিশবাঁও জলে। এখনও কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় সেই প্রজেক্টের মূল্য বেড়ে ৩১ কোটি থেকে ৩৭ কোটি হয়েছে। কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত দিয়েছে ২৬ কোটি টাকা। এই অবস্থায় ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের গর্বের বিল্ডিং। উল্টো দিকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই ইএসআই হাসপাতালেই গড়ে উঠেছে নার্সিং কলেজ, পুরনো বিল্ডিংয়ে চালু করা হয়েছে ডায়ালিসিসি ইউনিট, মডিউলার ওটি। উন্নয়নের তারতম্য আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে স্পষ্ট। এমন এক প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে পড়েন বিজেপি নেতানেত্রীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মন্ত্রী পুরো বিষয়টি জানতে চান। সম্ভবত কেন্দ্রের ত্রুটির আভাস পেয়েই তাঁদের গর্বের সেই বিল্ডিংয়ের দিকে পা না বাড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিরে যান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জট আটাতে উদ্যোগী হব। 
রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, প্রথমত উনি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের কেউ নন। তাই এই পরিদর্শন সরকারি হতে পারে না। এটা বিজেপির একটা দলীয় কর্মসূচি। ন’বছরের উন্নয়নের কর্মসূচি প্রচার করতে এসে পাঁচ বছরের উন্নয়নের কী হাল তা দেখে গিয়েছেন। একদিক তাঁদের যখন এই দশা তখন আমরা রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যতটা সম্ভব উন্নয়ন করেছি হাসপাতালের। 
ইএসআই হাসপাতালের সুপার অতনু ভদ্র বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নতুন হাসপাতাল বিল্ডিং সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমরা বিস্তারিত তথ্য দিয়েছি।  নিজস্ব চিত্র

9th     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ