বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

সরকারি ঘরের আশায় দিন গুনছে
সিঙাডুবার ৫২টি যোগ্য পরিবার 

সংবাদদাতা, বেলপাহাড়ী: রাস্তার পাশেই ঘরের ভাঙা চালায় গোরুকে খাবার দিচ্ছিলেন স্বামী-স্ত্রী বুদ্ধেশ্বর ও নমিতা মাহাত। পাশের বাড়ির চালায় বাঁধা বেশকিছু ছাগল। তাদের খাবারের জন্য ডালপালা সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরছিলেন শক্তিপদ সিং, যাদব সিংয়ের পরিবারের লোকরা। আবাস যোজনার তালিকায় এঁদের কারওরই নাম নেই। নতুন বছরে নতুন ঘর পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বেলপাহাড়ীর সিঙাডুবা গ্রামের এরকম ৫২টি পরিবার। এই গ্রামের অনেকেরই খড়ের ও টালিতে ছাওয়া বাড়ি। কারও বাড়ির দেওয়াল অর্ধেক ভাঙা। কারও বাড়ির চালা পলিথিন দিয়ে ছাওয়া। বহু বছর ধরে এভাবেই তাঁরা বসবাস করছেন। বেলপাহাড়ী থেকে কাঁকড়াঝোড় যাওয়ার রাস্তায় ৯ কিলোমিটার দূরত্বে বিনপুর ২ ব্লকের শিমুলপাল পঞ্চায়েতের এই গ্রামে রাস্তার দু’পাশে প্রায় ৭৫টি পরিবারের বাস। এর আগে কয়েকটি পরিবার আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে। এবারের আবাস প্লাস যোজনার বাড়ির তালিকায় গ্রামের ৫২টি পরিবারের নাম রয়েছে। আশাকর্মী ও ব্লক প্রশাসনের থেকে সেই তালিকার সমীক্ষা করা হয়েছে। তবুও ঘর না পাওয়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাঁদের কথায় তা স্পষ্ট। এই নিয়ে গৃহবধূ নমিতা মাহাত বলেন, এই তো রাস্তার পাশে আমাদের সবার ভাঙাচোরা ঘর। এই রাস্তায় যাতায়াত করার সময় সবাই তো দেখতে পাচ্ছেন। বহুবছর এভাবেই বসবাস করছি। আমরা এখনও আবাস যোজনার ঘর পাইনি। কয়েকদিন আগে আমাদের ৫২ জনের নামের তালিকা নিয়ে আশাকর্মীদের একটি দল ও ব্লক অফিস থেকে দু’বার সমীক্ষা করা হয়েছে। এর আগেও আমাদের তালিকায় নাম ছিল। সমীক্ষাও হয়েছে। কিন্তু ঘর আর পাওয়া যায়নি। এবারে আবাস যোজনায় আমাদের নতুন ঘর হবে এই আশায় দিন গুনছি। এ ছাড়া তো কোনও উপায় নেই। পাশের ঘরের এক বাসিন্দা বলেন, ঘর না পাওয়া এই পরিবারগুলি বেশিরভাগ খেটে খাওয়া। জমি জায়গা কারও বেশি নেই। বাড়িতে ছাগল, মুরগি  চাষ করে রোজগার করে। এতকাল আমরা আবাস যোজনায় বাড়ি পাইনি। গ্রামের কয়েকটি পরিবার অবশ্য আগে বাড়ি পেয়েছে। এবারে প্রশাসনের লোকজন সমীক্ষা করে নিয়ে গিয়েছেন। আমরা আশায় বুক বেঁধে আছি। এবার হয়তো পাকা বাড়ি পাব। এই নিয়ে বিনপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাহালা হাঁসদা বলেন, যাঁদের মাটির কাঁচা বাড়ি তাঁরা সবাই পাকা বাড়ি পাবেন। আগে বিভিন্ন ভাবে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার আবাস যোজনার বাড়ি অনেকেই পেয়েছেন। সে সময় তথ্য কম্পিউটারে নথিভুক্ত থাকত না। এখন বিভিন্ন জায়গার বেশিরভাগ গ্রামবাসীরা বাড়ি পাইনি বলে দাবি করেছেন। ফলে পুরো বিষয়টি আমরা ভালো করে যাচাই করে নিচ্ছি। এবারে যাঁরা বাড়ি পাননি, তাঁরা সবাই বাড়ি পাবেন। একবারে সবার বাড়ি তৈরি হবে তা নয়, ধাপে ধাপে তা হবে। অনিশ্চিয়তার কোনও কারণ নেই।

6th     February,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ