বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

বারাবনীতে ভগ্নিপতির হাতে খুন দুই শ্যালক
প্রচুর মদ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা ,তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: শনিবার একাদশীর রাতে জোড়া খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল বারাবনি ব্লকের নুনী এলাকায়। ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে দুই শ্যালককে খুনের অভিযোগ উঠেছে। খুনের প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতের স্ত্রীকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করে বাড়ির জামাই। মৃতদের নাম অশোক বাউরি(৩৫) ও বুধন বাউরি(৩৭)। খুনের পর প্রথমে বাড়িতে কম্বল ঢাকা নিয়ে লুকিয়ে পড়ে অভিযুক্ত। তারপর পুলিস আসায় বাড়ির চালের টালি খুলে পালানোর চেষ্টা করে। যদিও পুলিসি তৎপরতায় সে ধরা পড়ে যায়। ধৃত হারু বাউরির বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানা এলাকায়। সে ঘরজামাই হিসেবে শ্বশুরবাড়িতেই থাকত। দুই শ্যালককে প্রচুর মদ খাইয়ে জলের পাঁকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। পুলিস দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এর আগে গঙ্গজলঘাটিতে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগও সামনে এসেছে বলে পুলিসের দাবি। এসিপি মানবেন্দ্র দাস বলেন, দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি বুধন বাউরি। স্বামীকে খুঁজতে তাঁর স্ত্রী নিয়তিদেবী বাড়ির বাইরে যান। তিনি কিছুটা দূরে টিউবওয়েলের সামনে গিয়ে স্বামীকে দেখতে পান। অভিযোগ, সেই সময় হারু তাঁর স্বামীর গলা টিপে ধরে পাঁকের মধ্যে মাথা ডুবিয়ে দিচ্ছিল। হারু নিয়তিকে দেখে ফেলায় বুধনকে পাঁকে গুঁজে দিয়ে তাঁর পিছু ধাওয়া করে। নিয়তির নাগাল না পেয়ে নিজের বাড়িতে ঢুকে কম্বল ঢাকা দিয়ে লুকিয়ে পড়ে। অন্যদিকে নিয়তিদেবী পরিবারের সবাইকে বিষয়টি বললে এলাকাবাসী টিউবওয়েলের কাছে গিয়ে বুধন ও অশোক বাউরির দেহ দেখতে পান। খবর যায় পুলিসের কাছে। পুলিস ও স্থানীয়রা অভিযুক্ত হারুর খোঁজ শুরু করেন। সেটা টের পাওয়া মাত্র হার. প্রথমে ঘরের জানালা ভেঙে বাড়ির পিছন দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে সুবিধে না হওয়ায় টালি খুলে অন্য লোকের বাড়ির চাল টপকে পালানোর চেষ্টা করে। তখন সে ধরা পড়ে যায়। তবে কী কারণে এই জোড়া খুন, তা এখনও পুলিসের কাছে পরিষ্কার নয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দু’জনের সঙ্গেই হারুর বিবাদ ছিল। হারু অশোকের সৎ বোনকে বিয়ে করে এখানেই পাঁচ বছর ধরে আছে। আর বুধন অশোকের জেঠুর ছেলে। হারুর স্ত্রী ও শাশুড়ি লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালালেও সে কিছু‌ই করত না। সারাদিন গাঁজার নেশা করত। সেই কারণে ভগ্নিপতিকে মাঝেমধ্যেই বাড়িছাড়া করার কথা বলতেন অশোক। এনিয়ে একাধিকবার তাঁদের মধ্যে মারামারিও হয়েছে। অশোককে সবসময় সমর্থন করতেন বুধন। তাই বুধনের উপরও রাগ ছিল।হারুর স্ত্রী তুলসি বাউরি বলেন, আমার স্বামী সন্ধ্যায় মদ খেত। কিন্তু ওইদিন খায়নি। সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর গভীর রাতে বাড়ি ঢুকে কম্বল নিয়ে মাটিতেই শুয়ে পড়ে। পরে জানতে পারি, ও খুন করে এসেছে। বিয়ের পর আমি জানতে পেরেছিলাম, আমার শ্বশুরবাড়িতে সে একটি মেয়েকে খুন করে এসেছে। কিন্তু বিয়ের আগে জানলে এই দুর্গতি হতো না। ও আমাদের বাড়িতেই ঘরজামাই থাকত। আমরা ওর ফাঁসি চাই। অশোক বাউরির বোন শঙ্করী বাউরি, বুধনের দাদা কার্তিক বাউরি বলেন, ফাঁসিই হারুর উপযুক্ত শাস্তি। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে সে আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

18th     October,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ