বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

২৪৮টি জায়গা থেকে দেওয়া
হবে কাস্ট সার্টিফিকেট
বাঁকুড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: দুয়ারে সরকারে আবেদনের ভিত্তিতে বাঁকুড়ায় ২৪৮টি জায়গা থেকে হাতে হাতে দেওয়া হবে ‘পরিষেবা’। ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই পরিষেবা দেবে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। এই ক্যাম্প থেকে জেলার প্রায় ৬৭ হাজার মানুষ পাবেন জাতিগত শংসাপত্র। এছাড়া ৫৩ হাজার মানুষ পাবেন খাদ্যসাথীর সার্টিফিকেট। তবে যে ধরনের প্রকল্প থেকে ভাতা পাওয়া যায়, তা নিয়ম মাফিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাতে উপভোক্তাদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া যায়, সেই জন্য প্রশাসনিক মহলে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, জেলার ১৯০টি পঞ্চায়েত ও তিনটি পুরসভার ৫৮টি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে ক্যাম্প করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পগুলি স্থানীয় স্কুলে হবে। কাস্ট সার্টিফিকেট, খাদ্যসাথী প্রভৃতি প্রকল্পের শংসাপত্র দেওয়া হবে। তাই এখন শংসাপত্রগুলি তৈরি করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ আগস্ট থেকে রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়াতেও শুরু হয় দুয়ারে সরকারের দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবির। এক মাস ধরে সেই শিবির চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণামতো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ঘিরে এবার বাঁকুড়ায় ছিল চরম উন্মাদনা। তার জন্য জেলাজুড়ে প্রায় সাত লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পে আবেদন জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার লক্ষ আবেদনের অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পেও আবেদন পড়েছে হাজার হাজার।
প্রশাসনের দাবি, জাতি শংসাপত্র পেতে উপভোক্তাদের বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বহু মানুষ জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেন। জেলায় সেই সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। ইতিমধ্যেই প্রশাসন প্রায় ৬৭ হাজার আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে। ক্যাম্পের মাধ্যমে ওই সার্টিফিকেট উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেবে প্রশাসন। এছাড়া খাদ্যসাথী প্রকল্পেও জেলায় প্রায় ৬৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে ৫৩ হাজার আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে প্রশাসন। ক্যাম্প থেকে সেই সার্টিফিকেট পাবেন বাসিন্দারা।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপকুমার দত্ত বলেন, প্রত্যেক পঞ্চায়েতে দু’টি করে ক্যাম্প করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সেই জন্য জায়গা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ধরনের প্রকল্পগুলি থেকে উপভোক্তারা ভাতা পান, সেগুলি তাঁরা স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাবেন। তাই তাঁদের ওই ক্যাম্পগুলিতে আসার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনকারী মহিলাদের সেখানে আসার প্রয়োজন নেই। এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতেও প্রায় পৌনে দু’লক্ষ মহিলা আবেদন করেছেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট জায়গা থেকেই সেই কার্ড পাবেন। এর জন্য ক্যাম্পে আসার প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র যাঁদের কাস্ট সার্টিফিকেট বা অন্যান্য শংসাপত্র নেওয়ার প্রয়োজন, তাঁরাই আসবেন।
বাঁকুড়া-১ বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পগুলিতে ভিড় এড়াতে আলাদা করে কোনও প্রচার করা হবে না। যাঁরা কোনও সার্টিফিকেট পাবেন, তাঁদের পঞ্চায়েতের মাধ্যমে খবর দেওয়া হবে। আমরা প্রত্যেক পঞ্চায়েতে দু’টি করে ক্যাম্প করব। 

23rd     September,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ