বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ
 

অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বামেদের ভরসা কংগ্রেস

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের উপর নির্ভর করেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইছে সিপিএম। গত বিধানসভা নির্বাচনে জলঙ্গি, নবগ্রাম, ডোমকল এবং ভগবানগোলায় বাম প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তাদের সংগঠন বাড়েনি। উল্টে ভাঙন শুরু হয়েছিল। দু’জন বাম বিধায়ক শিবির বদল করেন। কর্মীরাও তাঁদের পিছু নিয়েছিল। তাই এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত সরে গেলে ওই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে তাদের লড়াই করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বাম কর্মীদের অনেকেই।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬সালের নির্বাচনে নবগ্রামে বাম বিধায়ক ৯৯হাজার ৫৪৫টি ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক দলের একটা বড় অংশের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৃণমূলে চলে আসেন। ওই শূন্যস্থান বামেরা আর পূরণ করতে পারেনি। এক সময়ের শক্ত ঘাঁটিতে তাদের দলীয় কর্মসূচিতে লোক জমায়েত করতেও চিন্তায় পড়তে হচ্ছে। একইভাবে জলঙ্গিতেও বামেদের বড়সড় ভাঙন হয়েছে। তারা এই আসনটি এবার আব্বাস সিদ্দিকির দলকে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হবে না বলে স্থানীয়দের দাবি। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের সঙ্গেও বামেদের মনোমালিন্য তৈরি হয়েছে। ২০১৬সালে ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্র বামেদের দখলে ছিল। পরবর্তী সময়ে এখানে তাদের নিচুতলার কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে ভাঙন হয়। তৃণমূল এই কেন্দ্রে আগের থেকে অনেক শক্তি বাড়িয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসও ঘর গোছানোর জন্য মরিয়া প্রয়াস করেছে। তাই এখানেও বামেদের অবস্থা টালমাটাল রয়েছে। অন্যদিকে ডোমকলে আনিসুর রহমান এবার প্রার্থী না হতে চাওয়ায় বামেরা বিপাকে পড়ে গিয়েছে। এলাকায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় বিধায়ক রয়েছেন। তাই তিনি ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোয় বামেরা ধাক্কা খেয়েছে।
কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট করার কথা ঘোষণা করলেও এখনও জেলায় সেই ঐক্যের ছবি দেখা যায়নি। অধিকাংশ জায়গায় কংগ্রেস আলাদা কর্মসূচি করছে। কয়েকদিন আগে শুধুমাত্র ডোমকল এবং হরিহরপাড়ায় তারা এক হয়ে মিছিল করেছিল। যদিও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র রবিবার বহরমপুরে এসে বলেন, আমাদের যৌথ প্রচার ব্রিগেড থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। সব জায়গাতেই প্রচার হবে। বুথস্তর পর্যন্ত যাব। কর্মসূচি একসঙ্গেই হবে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা বামেদের চারটি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে। তবে জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ওই কেন্দ্রটি বামেরা আব্বাসের দলকে ছাড়তে চেয়েছে। সেটা হলে কংগ্রেস আলাদা প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, জোট হলে এই জেলায় বামেরাই লাভবান হবে। কংগ্রেস অনেকটাই ঘর গুছিয়ে নিতে পারলেও সিপিএম তা পারেনি। তবে এই জেলায় জোট সফলভাবে হবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই ধন্দে রয়েছেন। কারণ এখানে গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার প্রবণতা বহুদিনের। কংগ্রেস নেত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। বামেদের নিচুতলার কর্মী এবং সমর্থকরা আমাদের সঙ্গে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। যে দল যেখানে জয়ী হয়েছে সেই দল সেখানে প্রার্থী দেবে। এই ফর্মুলাতেই জোট হয়েছে। আশা করি ফল ভালোই হবে। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, মানুষ আমাদের চাইছে। তাই জোট করেও ওদের কোনও লাভ হবে না। কংগ্রেস এবং সিপিএম বহুদিন ধরেই এক হয়ে লড়ছে। 

8th     March,   2021
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ