বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

গজলডোবায় ফের বন্ধ নৌকাবিহার

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, রাজগঞ্জ: জলস্তরের উচ্চতা হাঁটুর নীচে। ভেসে উঠেছে পলি। জলে নামলেই বসে যাচ্ছে পা। এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের পর্যটন কেন্দ্র ভোরের আলোর ঝিলের দৃশ্য। তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ক্যানেলে ছাড়া বন্ধ হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে খবর। যার জেরে ফের বন্ধ নৌকাবিহার। গ্রীষ্মকালীন পর্যটন মরশুমে এ নিয়ে হতাশ পর্যটক মহলে। একইসঙ্গে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নৌকাচালক ও মৎস্যজীবীরা। তাঁরা বন ও পর্যটন দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বনদপ্তর ও পর্যটন দপ্তর নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অজুহাত দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে। 
রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা গজলডোবা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় অবশ্য বলেন, লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 
শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে গজলডোবায় ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রটি। তিস্তা ব্যারেজ, ক্যানেল, হাওয়া মহল, ঝিল, জঙ্গল, ঝুলন্ত সেতু, কটেজ প্রভৃতি নিয়ে এই পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ ঝিলের নৌকাবিহার। যা স্থানীয়দের কাছে ‘অ্যামাজন’ হিসেবে পরিচিত। হোগলা পাতার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে করানো হয় বোটিং। তা কয়েকদিন ধরে বন্ধ। বর্তমানে ঝিলের পাড়ে সারি দিয়ে বাঁধা বিভিন্ন আকারের নৌকা। 
নৌকাচালক নিমাই মণ্ডল বলেন, ভোরের আলোর এই ঝিলে চলাচল করে প্রায় ১০০টি নৌকা। তিস্তা নদী থেকে ক্যানেলে জল ছাড়া বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি, প্রচণ্ড গরম। সেভাবে বৃষ্টিও হচ্ছে না। যার জেরে ঝিল এখন কার্যত শুকিয়ে গিয়েছে। জলে নৌকা চালানোই যাচ্ছে না। জলে নামলেই পা পলিতে ফেঁসে যাচ্ছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে। এখন কীভাবে সংসার চালাব, তা বুঝতে পারছি না। 
প্রায় সাত মাস আগে সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের জেরে তিস্তা নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। সেই সময় ব্যারেজের গাইড বাঁধ ভেঙে ঝিলে প্রবেশ করে তিস্তার পলি। তখন বেশ কিছুদিন ঝিলে নৌকাবিহার বন্ধ ছিল। নৌচালকদের দাবির জেরে কিছুদিনের মধ্যে নদী থেকে জল ছাড়ার পর আবার সচল হয় ঝিল। ফের সেই একই সমস্যা। জলস্তর কমে যাওয়ায় এবং পলির ফাঁসে নৌকাবিহার বন্ধ। পর্যটক বলেন, মূলত নৌকাবিহার করার উদ্দেশ্যেই ভোরের আলো দর্শনে এসেছি। তা না হওয়ায় নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। নৌচালকদের অভিযোগ, সাতমাস আগেই পলি তুলে ঝিলের নাব্যতা বাড়ালে এই সমস্যা হতো না। এবার ঝিল সংস্কার করতে হবে।  নিজস্ব চিত্র

21st     May,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ