বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

বৃষ্টির অভাবে ক্রমশ কমছে চা পাতার উৎপাদন, বাড়ছে সঙ্কট

সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: বৃষ্টির দেখা নেই। শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠ। এমন অবস্থায় সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা। এদিকে বৃষ্টির অভাবে চা পাতাও ঠিকঠাক মিলছে না। ফলে মাথায় হাত চা পড়েছে ময়নাগুড়ির চা চাষিদের। চা ফ্যাক্টরিগুলিতে কম পরিমাণে চা পাতা আসায় বটলিফ ফ্যাক্টরি চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মালিকদের। যেখানে মাসে ৭৫-৮০ হাজার কেজি চা উৎপাদন করলে ফ্যাক্টরির খরচ ওঠে, সেখানে মাত্র ৩৫ হাজার কেজি চা উৎপাদন হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা মালিকদের। সেক্ষেত্রে ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়বেন বহু শ্রমিক। 
ক্ষুদ্র চা চাষি স্বরূপ চাকি বলেন, জলের অভাবে চা পাতা লাল হয়ে যাচ্ছে। গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। পোকামাকড়ের আক্রমণ শুরু হয়েছে। কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সামগ্রিকভাবে চা পাতা কম পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সঙ্কটের মুখে। অপর কৃষক রাজীব বিশ্বাস বলেন, আমার ২২ বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে চা চাষ করি। প্রায় দু’বিঘার মতো জমির চা গাছ মরে গিয়েছে। জল দিচ্ছি, কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে কোনওভাবেই ভালো চা পাতা পাওয়া সম্ভব নয়। চা চাষি শ্যামল রায় বলেন, একদিকে চা পাতার উৎপাদন কমে গিয়েছে, অন্যদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় ভালো পাতা পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে আমরা চা পাতার দাম পাচ্ছি না। ফলে বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছি। রামশাই চা ফ্যাক্টরির মালিক দেবু রায় বলেন, একটি ফ্যাক্টরি চালাতে গেলে প্রচুর খরচ।  চায়ের পাতা সেভাবে না এলে ফ্যাক্টরির মেশিনপত্র চালানো যায় না। কিছুদিন ধরে একেবারে কম চা পাতা আসছে। এভাবে কতদিন ফ্যাক্টরি চালাব, বুঝে উঠতে পারছি না। ফ্যাক্টরি বন্ধ করলে কয়েকশো শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বেন।  জলপাইগুড়ি জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক অলোককুমার মণ্ডল বলেন, বৃষ্টির অভাবে ফসলের উৎপাদন কম হতে পারে। বৃষ্টি না হলে শুধু চা কেন অন্য সব্জির ফলনও মার খাবে।  নিজস্ব চিত্র

10th     May,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ