বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

কোচবিহার পুরসভার অধীনে থাকা ১৪৫টি স্টল দখল, সরব চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার পুরসভার ১৪৫টি স্টল বেআইনি ভাবে দখল হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন খোদ পুর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের একাধিক বিষয় নিয়ে সোমবার পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে সরব হন রবিবাবু। গত সপ্তাহেই ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে পুরসভায় বিভিন্ন দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। এরপর সাংবাদিক সম্মেলন করেও পুরসভার কাছে ওই দাবিগুলি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। দাবি মানা না হলে ব্যবসা ব঩ন্ধের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই পুরসভার চেয়ারম্যানের এমন অভিযোগকে ঘিরে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এদিন দাবি করা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা কিছু দখল করেন না। যা হয়েছে পুরসভার নিয়ম মেনেই হয়েছে। তবে পুরো ঘটনায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুরসভার যে টানাপোড়েন চলছে তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। 
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, প্রায় ১৪৫টি স্টল যা আনুমানিক দু’লক্ষ বর্গফুটের কাছাকাছি জায়গা হবে। ওসব বেআইনি ভাবে ব্যবসায়ীরা দখল করে আছেন। তাঁরা কোনও কর দিচ্ছেন না। তাঁদের কোনও কাগজপত্র নেই। তাঁরা কোনও কাগজ দেখাতে পারছেন না। কয়েকজনকে ডাকা হয়েছিল। আবার ডাকা হবে। এভাবে কোচবিহার পুরসভা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্টল হস্তান্তর প্রসঙ্গে রবিবাবু বলেন, কোচবিহার পুরসভা ২৫৫০টি স্টল রয়েছে। সেই স্টলের মালিকরা যদি ছেলে, মেয়েকে হস্তান্তর করতে চান তাহলে পুরনো রেটেই আমরা হস্তান্তর করে দিচ্ছি। আমরা লক্ষ্য করেছি, বাকি স্টলগুলি কিছু ব্যবসায়ী মোটা টাকায় বেআইনি ভাবে পুরসভাকে না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে পুরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যবসায়ী সমিতি বারবার আলোচনা করে পুরসভা পরিচালিত স্টলের ভাড়া ঠিক করেছে। গত ২০-৩০ বছরের মধ্যে পুরসভা পরিচালিত স্টলের ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি। কয়েক লক্ষ বর্গফুট স্টল রয়েছে যেগুলির কোনও কাগজপত্র ব্যবসায়ীদের কাছে নেই। তাঁরা দখল করে বসে রয়েছেন। সেই বিষয়েও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। কোচবিহার পুরসভায় প্রায় ২০ হাজারের উপর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর ৭০ শতাংশ ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই। বিনা করে ব্যবসা করছেন অনেকে। এতে পুরসভার আয় কমে গিয়েছে। মাত্র ৩৯০০ দোকানের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। বাকিদের ট্রেড লাইসেন্স নেই। এতে পুরসভার বছরে আনুমানিক তিন কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসা বন্ধ প্রসঙ্গে রবিবাবু বলেন, সেটা ওদের বিষয়। আমার মনে হচ্ছে কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতি আমাদের ব্ল্যাকমেইল করছে। আমি বলব এসব বন্ধ করুন। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষ বলেন, ১৪৫টি দোকান ব্যবসায়ীরা পুরসভার থেকেই নিয়েছেন। এখানে বেআইনি কিছু নেই। ব্যবসায়ীদের কাজ দখল করা নয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়েই তাঁরা দোকান নিয়েছেন। কিছু ব্যবসায়ীর কাছে হয়তো ট্রেড লাইসেন্স নেই। ফি বৃদ্ধির হওয়ার জন্য কিছু ব্যবসায়ী হয়তো ট্রেড লাইসেন্স করতে পারেননি। সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই। না হলে সকলে মিলে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে।  নিজস্ব চিত্র

7th     May,   2024
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ