বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

হাই মাদ্রাসায় মালদহের জয়জয়কার, প্রথম সাহিদুর

সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত হাইমাদ্রাসা ফাইনাল, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার এবছরের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মাদ্রাসা ফাইনাল পরীক্ষায় রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মালদহের গাজোলের রামনগর হাইমাদ্রাসার ছাত্র সাহিদুর রহমান। মোট ৮০০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৮। তার বাবা গাজোলের বৈরগাছির বাসিন্দা মাসিদুর রহমান কৃষিকাজ ও আম ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মা সারিফা খাতুন স্থানীয় পঞ্চায়েতে ভিআরপি কর্মী। তাঁদের তিন ছেলের মধ্যে সাহিদুর বড়। সাহিদুর বলে,আমার স্বপ্ন ছিল রাজ্যের মেধা তালিকার ১ থেকে ৫ এর মধ্যে থাকব। প্রথম স্থান পেয়ে ভীষণ আনন্দিত। আমার মা,বাবা ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় এই সাফল্য অর্জন করেছি। আমি বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে আগামী দিনে চিকিৎসক হতে চাই। 
মেধা তালিকায় প্রথম দশে রাজ্যে ১৭ জন স্থান পেয়েছে। তার মধ্যে মালদহের ১২ জন রয়েছে। তৃতীয় হয়েছে রতুয়া-২ ব্লকের মহারাজনগর হাইমাদ্রাসার ছাত্র মহম্মদ ইব্রাহিম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭৩। ইব্রাহিমের বাবা মহারাজনগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় দিনমজুর। অভাবের সংসারেও তাঁর স্বপ্ন, ছেলে  ডাক্তার হোক। মহারাজনগর হাইমাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মহম্মদ আতাউল হক বলেন, এই মাদ্রাসার ছাত্র ইব্রাহিম দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। মাদ্রাসার ছাত্রী সালমা খাতুন দশম স্থানে রয়েছে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে জেলা সদরের শতাব্দী প্রাচীন মালদহ মডেল মাদ্রাসার ছাত্র মুসাইয়িব আম্মা। সে পেয়েছে ৭৭২নম্বর। তার বাবা মহম্মদ আলমগীর মালদহ শহরে গৃহশিক্ষকতা করেন। মুসাইয়িব বলে, বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে গবেষণা করতে চাই। 
যুগ্মভাবে পঞ্চম হয়েছে রামনগর হাইমাদ্রাসার আসামুল হক এবং রতুয়া-১ ব্লকের বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী খালিদা খাতুন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৭৭১। আসমাউলের বাবা সাধারণ কৃষক, মা গৃহবধূ। খালিদার বাবা আব্দুস সামাদ পেশায় স্কুল শিক্ষক। রামনগর হাইমাদ্রাসার ছাত্র মারুফ আলম এবং ছাত্রী আসিফা ইয়াসমিন যুগ্মভাবে ষষ্ঠ হয়েছে। তারা ৭৭০ নম্বর পেয়েছে। যুগ্মভাবে সপ্তম স্থানে রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর সাগর হাইমাদ্রাসার ছাত্রী নাসিমা খাতুন, বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার ছাত্রী নাহিদা ইয়াসমিন ও জাহানারা খতুন। তারা ৭৬৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। নাসিমার বাবা সেতাবুর রহমান একজন ফেরিওয়ালা। গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করে কোনওরকমে সংসার চালান। রামনগর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী রেসমিনা খাতুন ৭৬৫ নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছে। ৭৬২ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য দশম মহারাজনগর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী সালমা খাতুন।
মালদহের এই কৃতীদের অধিকাংশ সাধারণ দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে। ফাজিল পরীক্ষায় রাজ্যের মেধা তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে মালদহের জেএইচআর সিনিয়র মাদ্রাসার সারমিন জাহান।

4th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ