বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

এখনও বৃষ্টির দেখা নেই, চিন্তায় ঘুম উড়ে গিয়েছে পাটচাষিদের

সংবাদদাতা, করণদিঘি: একটানা চলছে তাপপ্রবাহ। বেশ কয়েকমাস ধরে দেখা নেই বৃষ্টিরও। বর্ষাও এখনও ঢোকেনি বঙ্গে। এদিকে প্রখর রোদে ঝলসে যাচ্ছে পাটের খেত। নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমির পাটগাছ। এতে ক্ষতির আশঙ্কায় উত্তর দিনাজপুর জেলার পাট চাষিরা। 
জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে খেতের সব গাছ। সেচের মাধ্যমে জল দিয়েও  লাভ তেমন হচ্ছে না। কেবল খরচ বাড়ছে বলে দাবি চাষিদের। এই অবস্থায় মাথায় হাত তাঁদের। তবে আগামী তিন চারদিন জল সেচ করে পাটগাছ বাঁচিয়ে রাখার আবেদন করেছে কৃষি দপ্তর। এক সপ্তাহ পরই বৃষ্টির আশার কথা শুনিয়েছেন করণদিঘি ব্লক কৃষি আধিকারিক ধীরেন ছেত্রী। তবে কৃষি দপ্তরের আশ্বাসে নিশ্চিন্ত নন পাটচাষিরা। শুধু পাটচাষেই ক্ষতি হচ্ছে, এমনটা নয়। সব্জি চাষেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকরা। কামারতোড়ের কৃষক রবিউল হকের কথায়, প্রখর রোদে পাট গাছ শুকিয়ে গিয়েছে। জমিতে জল নেই। জলসেচ করেও পাটগাছ বাঁচানো যাচ্ছে না। 
গত বছর পাটের দাম ভালো পাওযায় এবারে করণদিঘি ব্লকে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন কৃষকরা। ধান ও সর্ষে কাটার পরই যাঁরা আগাম পাট চাষ করেছিলেন তাঁদের পাটগাছ অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু যাঁরা দেরিতে পাট চাষ করেছেন, তাঁরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। 
আর এক চাষি অমল পাল বলছেন, এবারে জেলায় বৈশাখ মাসে খুব বেশি বৃষ্টি হয়নি। তার উপর একটানা  গরম। এতে জলস্তর অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর। পাম্পসেট লাগিয়েও জল পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি চাষিদের। 
চাষি রবিউল হক বলছেন, পাম্পের সাহায্যে খেতে জল দিতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে। তারপরও পাটগাছ বাঁচবে কি না, সন্দেহ।  বৃষ্টি না থাকায় মাখনা চাষেও ক্ষতির মুখে করণদিঘি, টুঙ্গিদিঘি, পাঁচপীর, ঝাড়বাড়ি, সাধনপুর, রানিগঞ্জ, ডালখোলার চাষিরা। বিভিন্ন খালে জলা জমিতে মাখনা চাষ করেছিলেন চাষিরা। গরমে খালবিলও শুকিয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় মাখনা গাছ মারা যাচ্ছে।
প্রতীকী চিত্র।

4th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ