বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরই
ঢালাও উন্নয়ন গোটা এলাকায়

 

সিদ্ধার্থ সরকার, পুরাতন মালদহ: পুরাতন মালদহ ব্লকের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস ২০১৪ সাল থেকে এককভাবে ক্ষমতায় রয়েছে। এই সময়কালে বিরোধীরা কোনও বিষয়েই দাঁত ফোটাতে পারেনি। যে কারণে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের হাত ধরে ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পথবাতি, পানীয় জলের সমস্যা অনেক মেটানো হয়েছে। তবে তৃণমূল ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতা ধরে রাখলেও দলের সদস্যদের বিদ্রোহে বর্তমান পরিস্থিতিতে উন্নয়ন কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। ভোটের আগে যদি পঞ্চায়েতে সদস্যদের মধ্যে মতবিরোধ না থামে, তাহলে অনেক কাজ থমকে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এতে সার্বিক ভাবে পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। যদি এমনটা হয়, তাহলে তার প্রভাব আগামী পঞ্চায়েতে ভোটেও পড়তে পারে। যদিও এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতের গৌরব ফেরাতে কর্তৃপক্ষ মাঠে নেমে পড়েছে। 
এবিষয়ে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের রুখসেনা খাতুন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আমরা পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আছি। পঞ্চায়েতে বিরোধীরা দাঁত ফোটাতে পারেনি। মানুষের পরিষেবার কোনও খামতি হয়নি। রাস্তা, নিকাশি, ১০০ দিনের কাজ সবই হয়েছে। আগে যিনি প্রধান ছিলেন, তাঁর আমলেও কাজ হয়েছে। তবে এটা ঠিক বিরোধীরা সক্রিয় হয়ে আমাদের মধ্যে কিছু মতবিরোধ তৈরি করেছে। ভোটের আগে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেব। কারণ বিরোধীরা যাতে আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর  সুযোগ না পায়। পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী তথা ব্লক তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর আলম (ফিটু) বলেন, আমার স্ত্রী প্রধান থাকাকালীন এলাকায় যা উন্নয়ন হয়েছে, আগে কখনও হয়নি। এটা বিরোধীরাও অস্বীকার করতে পারবে না। এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে বাসিন্দারা ঘরে ঘরে পরিষেবা পেয়েছেন। সব পঞ্চায়েতে কাজের নিরিখে মতবিরোধ তৈরি হয়ে যায়। এখানেও সেরকম কিছু হয়েছে। 
এবিষয়ে পঞ্চায়েতের বিরোধী নেত্রী বিজেপির নমিতা রাজবংশী বলেন, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ দলের সদস্যদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। পঞ্চায়েতে ফান্ড রয়েছে কিন্তু কাজ করতে পারছে না। তাহলে কোথায় উন্নয়ন হয়েছে? আমাদের নজরে তো কিছু আসছে না। 
মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে লড়ে  কংগ্রেস  ২০১৩ সালে ক্ষমতা দখল করেছিল। তার আগেই  রাজ্যে সরকারের পালাবদল হয়ে  তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। যার হাওয়া ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেও পড়ে।  সে সময় সিংহভাগ কংগ্রেস সদস্য  তৃণমূলে  যোগদান করায়  ২০১৪ সালে  তৃণমূল  অনাস্থা ডেকে প্রথম বোর্ড গঠন করে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে  তৃণমূল  ১১ জন সদস্যকে জিতিয়ে এনে ফের ক্ষমতায় বসে। তারপর এলাকায় ঢালাও উন্নয়ন কাজ হয়েছে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে তিন কোটি টাকার মাটি ও রাস্তার কাজ হয়েছে। এছাড়াও নিকাশি, পথবাতি, সাব মার্সিবল পাম্প, বৃক্ষরোপণ সহ অন্য খাতে আরও চার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। প্রায় দুই কোটি টাকার প্রকল্প ধরা রয়েছে। ছবি: প্রতিবেদক

25th     November,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ