বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

চপ, কাটলেট থেকে পাঁঠার মাংস
পুজোয় খাওয়াদাওয়া নিয়ে মশগুল বাসিন্দারা

সংবাদদাতা, মালদহ: দুর্গাপুজো মানেই ভুরিভোজ। গত দু’বছর অতিমারির চোখরাঙানি আর একাধিক নিষেধাজ্ঞার জেরে রেস্তঁরাগুলিতেও ছিল বেশ কিছু বিধিনিষেধ। এবার করোনা প্রায় নিশ্চিহ্ন হতেই পুজোর চারদিনে রকমারি মেনুর পসরা সাজিয়ে খাদ্যরসিকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে ইংলিশবাজারের ছোটবড় সব রেস্তঁরাই। আসন সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু তাও যেন দুর্গাপুজোর মূল উৎসব শুরুর আগে থেকেই রেস্তঁরাগুলিতে ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই রব। পুজোর ক’দিন বাড়িতে রান্নার পাট চুকিয়ে অনেকেই ছুটছেন পছন্দের রেস্তঁরাগুলিতে পছন্দের মেনুর খোঁজে।
বাঙালির ভোজনপ্রীতির খ্যাতি দুনিয়াজোড়া। পুজোর দিনগুলিতে চপ, কাটলেট থেকে মুরগি অথবা পাঁঠা, খাসির মাংসের হরেকরকম পদে রসনাতৃপ্তির ইচ্ছে যেন আরও বেশি পেয়ে বসে বাঙালিকে। মালদহে পুজোর উৎসবেও তাই রেস্টুরেন্ট থেকে রাস্তার পাশে গজিয়ে ওঠা অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলিতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। অবস্থা সামাল দিতে যেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খাবার তৈরির প্রস্তুতি সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে রেস্টুরেন্ট থেকে ছোট দোকানগুলিতেও।
সপরিবারে অথবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন জোগাড় করে অনেকটা যেন যুদ্ধ জয়ের হাসি অনেকের মুখে। বাড়ির রান্নার পাট চুকিয়ে অনেকেই দু’বেলাই ঢুঁ মারছেন রেস্টুরেন্টে। অন্যদিকে ক্রেতাদের টানতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে পুজো উপলক্ষে চালু হওয়া নতুন নতুন রেস্তঁরার ঢালাও প্রচার।
পুজোর ছুটিতে কলকাতা থেকে ইংলিশবাজারের পুড়াটুলিতে বাড়ি ফিরেছেন সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া মেঘদ্যুতি সিংহ। মহাপঞ্চমীর সকালে বাড়ি ফিরেই বন্ধুদের সঙ্গে পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন পুজোর কয়েকটা দিন কোন কোন রেস্তঁরায় সারবেন  লাঞ্চ বা ডিনার। মেনুর তালিকায় রয়েছে বিরিয়ানি থেকে চিকেন, মাটনের বিভিন্ন পদ। তিনি বলেন, পুজোর দিনগুলোতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখতে বেরোই। খিদে পেয়ে গেলেই সটান ঢুকে পড়ি কোনও রেস্টুরেন্টে। একসঙ্গে খাবার ভাগ করে সকলে মিলে খাওয়ার মজাই আলাদা।
মালদহ শহরের কৃষ্ণজীবন সান্যাল রোডের একটি জনপ্রিয় বড় রেস্তঁরার মালিক হিমাদ্রি রায় বলেন, পুজোয় মানুষের ভিড় অনেকটাই বাড়ে। গত দু’বছর আসন সংখ্যা কমাতে হয়েছিল করোনা বিধিনিষেধের জন্য। এবার আসন সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু তাও খাদ্যরসিকদের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকেই রান্নার প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হচ্ছে। মহাষষ্ঠীর রাতেও রাত ১২টার পরেও মানুষ এসেছেন রেস্টুরেন্টে।
সব মিলিয়ে পুজোর খাওয়াদাওয়া নিয়ে এখন মশগুল ইংলিশবাজারের বাসিন্দাদের অনেকেই। ফলে চওড়া হাসি খাদ্য-বিক্রেতাদের মুখেও। 

2nd     October,   2022
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ