বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

নীতীশের ভোটব্যাঙ্কে ধস, মাঠ কাঁপাচ্ছেন তরুণ তুর্কি তেজস্বী

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভরসা মোদি ফ্যাক্টর। বিহারে লোকসভা ভোটের তিন পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর বিজেপি চরম উদ্বিগ্ন। কারণ, ভোটের গতিপ্রকৃতির ফিডব্যাক এবং প্রচারের ময়দানের চিত্র দেখে স্পষ্ট হচ্ছে যে, এই প্রথম নীতীশ কুমারের বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়ছে না নির্বাচনে। নীতীশ কুমারের সভায় ভিড় নেই। সেই উচ্ছ্বছাস কিংবা প্রবল স্বতঃস্ফূর্ততাও নেই। বস্তুত নীতীশ কুমারের ভোটব্যাঙ্কও নির্লিপ্ত। বিজেপি এখন থেকেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে  প্রচারের ময়দানে দূরত্ব বজায় রাখছে। নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ কোনও জনসভায় নীতীশ কুমারের সঙ্গে আর মঞ্চে থাকছেন না। আগামী দিনেও কয়েকটি রোড শো ছাড়া বৃহৎ জনসভায় নীতীশ কুমারকে বিজেপির নির্বাচনী সমাবেশে ডাকা হবে না বলে স্থির হয়েছে। একদিকে যেখানে নীতীশ কুমার ফ্যাক্টর এবার ভোটে প্রায় শূন্য হয়েছে, সেখানে তেজস্বী যাদবের সভায় উঠছে ঝড়। একের পর এক নির্বাচনী সভা, রোড শো এবং পদযাত্রা করছেন তেজস্বী। মিথিলাঞ্চল অথবা অনগ্রসর সীমাঞ্চল, সর্বত্র তেজস্বীর সভায় ভিড় 
হচ্ছে প্রবল। 
বিহার রাজনীতিতে বস্তুত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। গত শতকের আট এবং নয়ের দশকে লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, রামবিলাস পাসোয়ানের উত্থান হয়েছিল। এই ত্রিশক্তি বিহার ভোটে পৃথক তিন আইডেন্টিটি রাজনীতির সূচনা করেন। ২০২৪ সালের ভোটে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, নতুন তিন যুবশক্তি তাঁদের দলের প্রধান সেনাপতি। তেজস্বী যাদব, চিরাগ পাসোয়ান, সম্রাট চৌধুরী। তেজস্বী যাদব এই তিনজনের মধ্যে দলের একচ্ছত্র নেতা। চিরাগ বাবা রামবিলাস পাসোয়ানের দলকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর কাকা পশুপতি পাসোয়ান একঝাঁক এম পি ও বিধায়ক নিয়ে নয়া দল গড়েছেন। বাধ্য হয়ে দুর্বল চিরাগ বিজেপির হাত আবার ধরেছেন। তবে পশুপতি পাসোয়ানকে বিজেপি ক্রমেই দুর্বল করে দিয়েছে। সুতরাং চিরাগের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) এখন মূল দল। পক্ষান্তরে বিজেপির সঙ্কট বেড়েছে ঠিক ভোটের আগে। বিজেপির বিহারের প্রধান মুখ সুশীল মোদি ক্যান্সোরে আক্রান্ত হয়ে রাজনীতি থেকে সরে গেলেন আচমকা। নতুন মুখ সম্রাট চৌধুরী এখন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী। নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনিই সরকারের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা অথবা ক্যারিশমা এমন নয় যে, বিহারে এককভাবে অনেক আসনের নির্ণায়ক হবেন। সুতরাং বিজেপির একমাত্র ভরসা মোদি ফ্যাক্টর। সরাসরি মোদি বনাম তেজস্বীই এবার বিহার যুদ্ধের ভরকেন্দ্র। 
নীতীশ কুমার কুর্মি-ভূমিহার ও কৈরী ভোটব্যাঙ্ককে একজোট করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই জোট এখন শেষ। লালুপ্রসাদ যাদবের এম-ওয়াই অর্থাৎ মুসলিম-যাদব ভোটব্যাঙ্ক বরং আরও সংঘবদ্ধ হয়েছে। উচ্চবর্ণ এবং অতি পিছড়ে বর্গই প্রধান হাতিয়ার বিজেপির। যদিও বাংলার মতোই বিহারে নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে একটিই ভোটশ্রেণি। মহিলা ভোটার। বিহারের প্রথম তিন দফার পর বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, দেশজুড়ে কাজের জন্য চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরের মেয়েরা দলে দলে ভোট দিচ্ছে এবার। মহিলা ভোটারের ভোট প্রদান হার বেড়েছে তুলনামূলকভাবে। এই ভোট কোনদিকে যাচ্ছে? 

12th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ