বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

নির্বাচনী বন্ড দেশের সর্ববৃহৎ দুর্নীতি, কলকাতায় এসে দাবি প্রশান্ত ভূষণের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইলেক্টোরাল বন্ডে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে বিজেপি। আর বন্ডের বিনিময়ে সংস্থাগুলির তৈরি ক্ষতিকর ওষুধ, টিকা বড়সড় বেনিয়ম ধাপাচাপা দেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর সরকারি ‘চুক্তি’ পাইয়ে পাইয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। এগুলি জনসাধারণের সামনে আসার ফলে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কমতে বাধ্য। শনিবার প্রেস ক্লাবে এসে এমনই দাবি করলেন প্রখ্যাত ব্যারিস্টার তথা সমাজ আন্দোলনের কর্মী প্রশান্ত ভূষণ। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের ডাকে এই আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন মোরারজি দেশাই সরকারের মন্ত্রী শশী ভূষণের পুত্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী তথা ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে আইনী লড়াইয়ের অন্যতম পুরোধা অঞ্জলি ভরদ্বাজও। তাঁরা মনে করছেন, দেশের এ যাবৎকালের মধ্যে সর্ববৃহৎ দুর্নীতির অভিযোগ ঘাড়ে নিয়ে বিজেপি বেশিদূর আর এগতে পারবে না।
প্রশান্ত ভূষণ এবং অঞ্জলি ভরদ্বাজরা দাবি করেছেন, প্রকাশ্যে আসা মোট বন্ডের ৫৪ শতাংশই পেয়েছে বিজেপি। তবে, এটা পুরো হিসেব নয়, ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের বড় সময়ে জমা পড়া বন্ডের হিসেব এখন সামনে আসেনি। তার পরিমাণও প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বলে দাবি তাঁদের। প্রশান্ত মোদির করা আদানি-আম্বানির কংগ্রেসকে টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে একটি পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মোদি দাবি করেছিলেন, পার্টিগুলিকে ব্যবসায়ীদের কালো টাকা দেওয়া ঠেকানোর জন্য এই বন্ড আনা প্রয়োজন। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী জানেন যে আদানি-আম্বানিরা টেম্পো করে টাকা নিয়ে কোনও দলকে দিচ্ছেন। অথচ না আছে কোনও ধরপাকড়, না তিনি কোনওভাবে তা ঠেকাতে পারছেন। তাহলে ইলেক্টোরাল বন্ড আসলে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আনা হয়েছিল, তা স্পষ্ট হল।
ইলেক্টোরাল বন্ড আদায়ে ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে দিয়ে তোলাবাজি যেমন চলেছে, তেমনই কালো টাকা সাদা করার খেলাও খেলেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকদের একটি বড় অংশই এর সঙ্গে জড়িত। মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হেনস্তা তো আছেই। আবার টাকা মিললে অভিযুক্তদের সহজ শর্তে জামিন দিয়ে দেওয়ার নিদর্শনও রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত ইডি-সিবিআই আধিকারিকদের শাস্তি না হলে এই খেলা বন্ধ হবে না। এ প্রসঙ্গে ইডি শীর্ষকর্তা এসকে মিশ্র উদাহরণও দেন তিনি। তাঁকে দিয়ে স্বার্থসিদ্ধি হওয়ার ফলে অবসরের পরেও তাঁকে সরায়নি বিজেপি সরকার। ১১টি এমন সংস্থা বন্ডে টাকা ঢেলেছে, যাদের ক্ষতির মিলিত পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ কোটি। অঞ্জলির প্রশ্ন, হয় এই সংস্থাগুলি তাদের লাভ লুকিয়ে রাখছে নয়ত এমন কোনও ক্ষেত্রে রেহাই পাচ্ছে যেটা তাদের পাওয়ার কথা নয়। নিয়ম ভেঙে তিন-চারমাস বয়সি সংস্থাও বন্ডে টাকা ঢেলেছে। অথচ তিন বছরের পুরনো সংস্থা না হলে এই অধিকার পাওয়া যায় না। এই সংস্থাগুলি ভুয়ো বলেই দাবি তাঁদের। স্রেফ বন্ডের জন্যই এগুলিকে তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট তথা সার্বিকভাবে বিচারব্যবস্থার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন প্রশান্ত, অঞ্জলিরা। 

12th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ