বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

কেন্দ্র বেগুসরাই: কড়া টক্করের মুখে গিরিরাজ, বিজেপিকে টেক্কা দিতে জোটই ভরসা সিপিআইয়ের

বেগুসরাই: ‘সময় কে রথ কা ঘর্ঘর-নাদ সুনো/সিংহাসন খালি করো কি জনতা আতি হ্যায়।’ বিহারের বেগুসরাই। বিখ্যাত হিন্দি কবি রামধারী সিং দিনকরের জন্মভূমি।  লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফায় অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র এটি। একটা সময় ‘বিহারের লেনিনগ্রাদ’ হিসেবে পরিচিত ছিল পূর্ব বিহারের এই জেলা। তখন ছিল এখানে লাল পার্টির রমরমা। সময়ের সঙ্গে লাল রং ফিকে হয়েছে। কিন্তু একেবারে মুছে যায়নি। ফের একবার জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আসরে নেমেছে সিপিআই। তাদের সামনে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। গতবারের নির্বাচনে বালাকোট হামলার জাতীয়বাদী হাওয়ায় ভেসে গিয়েছিল সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমারের যাবতীয় প্রতিরোধ। অবশ্য এখন বাম রাজনীতি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন কানহাইয়া। এবার বেগুসরাইয়ে সিপিআই প্রার্থী করেছে অবধেশ রাইকে। এখানকার বাছওয়াড়া আসনের তিনবারের প্রাক্তন বিধায়ক তিনি। লালুপ্রসাদের দল, কংগ্রেসে ও অন্যান্য বামদলগুলি সহ এবার ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের পূর্ণ সমর্থন আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে সিপিআইয়ের। 
অন্যদিকে, গিরিরাজের টানা দু’বার এবং তাঁর দলের সামনে হ্যাটট্রিকের হাতছানি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কাঁটা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে দলের অন্দরের অসন্তোষ। সেইসঙ্গে শরিক জেডিইউর সঙ্গে টানাপোড়েনও। কিন্তু হিন্দুত্বের এই ফায়ার ব্র্যান্ড নেতা এসব কিছুকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে নারাজ। রামমন্দির আবেগকে কাজে লাগিয়ে এবারেও আস্তিন থেকে মেরুকরণের তাস খেলেছেন তিনি। এবারও  গিরিরাজ বলেছেন, ‘এখানে কোনও লড়াই নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর মানুষের আস্থা অটুট।’  মুখে এমন বললেও এবার প্রতিপক্ষের সঙ্গে সরাসরি লড়াই গেরুয়া শিবিরের চিন্তা বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গাদকারি সভা করে গিয়েছেন এখানে। এসেছিলেন জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। 
শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী অবধেশও। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের গণিতও জোটের ভরসা বাড়িয়েছে। এখানকার সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে দু’টি করে আসনে জয়ী হয়েছিল সিপিআই ও আরজেডি। আর বিজেপি-জেডিইউ জোট পেয়েছিল তিনটি আসন। প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন প্রসাদ সিং এবার সিপিআইয়ের প্রচারের দায়িত্বে। তিনি বলছেন, এবারের লড়াই ‘ধনবলে’র সঙ্গে ‘জনবলে’র। মানুষ এবার হিন্দুত্বের প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। মৌলিক চাহিদা পূরণই তাঁদের চাহিদা। 
এবার এখানে ‘হিন্দুত্ব বনাম মুদ্দা’র লড়াই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দিনাকর লিখেছিলেন- ‘দেবতা কহিঁ সড়কোঁ পর গিট্টি তোড় রহে/ দেবতা মিলেঙ্গে খেতো মে খলিহানো মে’।  এই ‘জনতা জনার্দনে’র রায়ের দিকেই তাকিয়ে এখন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। ‘সময়ের রথের ঘর্ঘর ধ্বনি’ কী বার্তা দিচ্ছে, তা জানা যাবে ভোট বাক্স খুললে।

10th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ