বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

২৬ হাজারের সুপ্রিম স্বস্তি, ১৬ জুলাই পর্যন্ত কারও চাকরি যাবে না, বেতন ফেরানোতেও স্থগিতাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: হাইকোর্টের রায়ে স্থগিত! আপাতত কারও চাকরি যাচ্ছে না। বেতন ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারা শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। ভোট-পর্ব পেরিয়েই ভাগ্য নির্ধারণ হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) চাকরি বাতিল মামলার। ফলে খানিক স্বস্তিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও।  চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য ও এসএসসি। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানির পর্যবেক্ষণে দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের সাফ মন্তব্য, ‘কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য—এখনই আলাদা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই এভাবে একলপ্তে একজনের চাকরি বাতিল হতে পারে না।’ এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর ‘স্থগিতাদেশ’ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। গ্রীষ্মাবকাশের পর আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী এবং চূড়ান্ত শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকছে চাকরি। শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কৃষ্ণনগরে প্রচারসভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বিষয়টি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
যদিও এদিনের নির্দেশে কয়েকটি ক্ষেত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পাদ্রিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ। সেগুলি হল— ১) অবৈধ নিয়োগের মামলায় সিবিআই তদন্ত জারি থাকবে। তবে কারও বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নয়। ২) অতিরিক্ত পদ (সুপারনিউমেরারি পোস্ট) তৈরির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে পারবে না সিবিআই। ৩) সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত নির্দেশে যারা অযোগ্য বলে প্রমাণ হবে, ৭ মে ২০২৪ থেকে পাওয়া বেতনের টাকা তাদের ফেরত দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। চাকরিও যাবে। ৪) চাকরিহারাদের এও মুচলেকা দিতে হবে যে, চূড়ান্ত শুনানিতে ভাগ্য নির্ধারণের পর অবৈধ নিয়োগকারীরা টাকা ফেরত দেবে। 
কিন্তু প্রায় চার ঘণ্টার শুনানি শেষেও রয়ে গেল সেই এক প্রশ্ন— ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষক এবং গ্রুপ সি-ডির মতো অশিক্ষক কর্মচারী পদে কারা যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন আর কারা অবৈধভাবে? কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, সিবিআইয়ের হিসেবে ওমএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি পেয়েছেন ৮ হাজার ১৬৩ জন। যদিও এদিন সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য, অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ মাত্র ৬ হাজার ১৩০ জনের। তারই মধ্যে ২০২২ সালের মে মাসে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৮৬১টি পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। এতদিন পর কেন এই সিদ্ধান্ত? কেনই বা ওমএমআর শিট, স্ক্যানড কপি নেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে? কেন সঠিক টেন্ডারে বরাত দেওয়া হয়নি ওএমআর শিট তৈরির? শুনানিতে এই প্রশ্নগুলি তোলেন দেশের প্রধান বিচারপতি। মন্তব্যও করেন, ‘এ তো দেখছি সিস্টেমেটিক ফ্রড।’
বিচারপতিদের বেঞ্চ বারবার জানতে চায়, যোগ্য-অযোগ্য বাছার কোনও উপায় আছে কি? রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী, কমিশনের কৌঁসুলি জয়দীপ গুপ্ত অবশ্য জানান, উপায় আছে। চাকরি হারাতে বসা প্রার্থীদের আইনজীবী প্রতীক ধর, পার্থসারথি দেববর্মন, জয়দীপ মজুমদার, শারদ সিংঘানিয়ারাও তা সমর্থন করেন। বিরোধিতায় অনড় থাকেন নিজেদের যোগ্য বলে দাবি করা প্রার্থীদের আ‌ইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং মণিন্দর সিং। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, সবার আগে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করতে হবে। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

8th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ