বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পারিবারিক সঞ্চয় পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

নয়াদিল্লি: শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে দেশ। প্রতিনিয়ম এমনই স্বপ্ন ফেরি করছে মোদি সরকার। কিন্তু মাথাপিছু আয় না বাড়লে তাতে সাধারণ মানুষের লাভ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মোদি সরকারের আমলে আর্থিক বৈষম্যও চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এরইমধ্যে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেশে শেষ তিন বছরে নেট গার্হস্থ্য সঞ্চয় একধাক্কায় কমেছে ৯ লক্ষ কোটি টাকা। আর শুধু ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। সেটি পৌঁছেছে ১৪.১৬ লক্ষ কোটি টাকায়।    জাতীয় পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট স্ট্যাস্টিসটিক্স, ২০২৪ থেকে এমন তথ্য জানা গিয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এই তথ্য প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘বিকশিত ভারতে’র ফানুস চুপসে দিয়েছে। একদিকে মূল্যবৃদ্ধি ও অন্যদিকে রোজগার কমে যাওয়ায় ঘোরতর আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তাদের হাতে সঞ্চয় করার মতো বাড়তি অর্থ থাকছে না। জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পারিবারিক সঞ্চয়ের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ২৩.২৯ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। তারপর থেকেই ভাটার টান। পরের অর্থবর্ষ ২০২১-২২ এ তা কমে হয় ১৭.১২ লক্ষ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, গত আর্থিক বছরে সাধারণ মানুষের জিনিসপত্র কিনে ব্যবহার করার হার দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন শতাংশ। অথচ এর আগের বছরেই এই বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ।
এর আগে সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণ সবচেয়ে কম ছিল ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে। ওই বছরের ১৩.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সঞ্চয় পরের অর্থবর্ষেই বেড়ে হয়েছিল ১৪.৯২ লক্ষ কোটি টাকা। করোনা পর্বের আগে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তা আরও বেড়ে হয়েছিল ১৫.৪৯ লক্ষ কোটি টাকায়। কিন্তু করোনা পর্বের পরই হুহু করে কমেছে সঞ্চয়ের পরিমাণ।  ২০২৩ অর্থবর্ষে গার্হস্থ্য আর্থিক সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে হয়েছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির ৫.৩ শতাংশ। যা গত পাঁচ দশকে সর্বনিম্ন। অথচ করোনার পর্বকে বাদ দিলে গত ১০ বছরে এর পরিমাণ জিডিপির ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য মিলেছিল। 
একদিকে যেমন সঞ্চয় কমেছে, তেমনি বেড়েছে ঋণের বোঝা। ঋণ বাদ দিলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ২৯.৭ লক্ষ কোটি টাকা। এই অর্থবর্ষে ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১৫.৬ লক্ষ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবর্ষে মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ২৬.১ লক্ষ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ সঞ্চয়ের থেকে ঋণের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সোজা কথায়, পারিবারিক ধার দেনার বহর যেখানে ৭৩ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে সঞ্চয় বেড়েছে মাত্র ১৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেয়ার বাজারে লগ্নির পরিমাণও গত তিন বছরে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নির পরিমাণ ছিল ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকা। শেয়ার ও ডিবেঞ্চারেও পারিবারিক লগ্নি গত তিন বছরে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ১.০৭ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা হয়েছে ২.০৬ লক্ষ কোটি টাকা।  বিরোধীরা বলেছে, জিনিসপত্রের দামে লাগাম টানতে পারেনি সরকার। থমকে গিয়েছে রোজগার। বাড়ছে বেকারত্বও। এই অবস্থায় ধারদেনা করেই সংসার চালাতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে মোদির আমলে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। 

8th     May,   2024
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ